banglalive logo
[ivory-search id="382384" title="AJAX Search Form"]

দক্ষিণ–আপন

Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

Dakhshinapan

দক্ষিণাপণকে আদর করতে শিখিয়েছিল, মল্লিকা। কবি মল্লিকা সেনগুপ্ত।
একই বিভাগে টানা কুড়ি বাইশ দিন একসঙ্গে রিফ্রেশার কোর্স করার সূত্রে খুব ভাব জমেছিল।
আলিপুর ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে, একই দিকে যে দু’জনে বাড়ি ফিরতাম তখন।
আমি নেমে যেতাম টালিগঞ্জ ফাঁড়ির মুখে। আমার তখনকার যাদবপুর-মুখো আস্তানার অটো ধরতে; আর ও ঘুরে যেত সিরিটির দিকে।
একদিন কী হল, জোর করে আমাকে ধরে নিয়ে গেল দক্ষিণাপণে।

এর আগে যখনই গিয়েছি, টুকটাক কেনাকাটা সেরে ফিরে এসেছি। এই প্রথম জানলাম যে, আড্ডা জমানোর এ বেশ এক আহ্লাদি জায়গাও বটে। প্রথমে তো কিচ্ছুটি না কিনে, সোজা  গিয়ে ঢুকল ডলি’স টি-শপে। নিচু নিচু মোড়ায় বসে এক প্লেট চিকেন স্যান্ডুইচ এবং দু’কাপ লিচি-টি। ছোট্ট আয়োজনেও কী অসামান্য উষ্ণতা! কত যে কথা বলেছিলাম আনন্দে, সে রেশ যেন আজও জড়িয়ে। চারিদিকে মানুষের ঢল, পুজোর কান ঘেঁষা সময়ে ছুটি ছুটি ভাব, আর আমাদের সখিবেলা। ওঠার সময় আবার এক প্যাকেট চা কিনল মল্লিকা এবং আমাকেও জোর করে কেনাল। মালকিন ডলি বোস তখন প্রতিদিন বিকেলে বসতেন। এ টিন ও টিন থেকে নিজে হাতে ঢালাঢালি করে সাগ্রহে বেশ জম্পেশ বানিয়ে দিলেন – ফ্লেভার লিকার দু’ইই সমান মিশিয়ে।

Dakshinapan
ডলিস টি শপের আড্ডা দক্ষিণাপণের এক দারুণ আকর্ষণ। ছবি সৌজন্য – lbb.com

চা কিনেই শেষ হল না, টেনে নিয়ে গেল দোতলায়। বিশেষ এক দোকান থেকে কিনিয়ে ছাড়ল একখানি অপূর্ব হ্যান্ড প্রিন্টের শাড়ি। আমাকে কিপটে বলে কটাক্ষ করে, টেনে নিয়ে যেতে থাকল, ওর পছন্দের আরও কিছু দোকানে। মনে হচ্ছিল যেন মেলায় ঘুরতে এসেছি। ওরই পিছু পিছু ছাদ থেকে ছাদে ঘুরে, হাঁটতে হাঁটতেই চলে এলাম মধুসূদন মঞ্চের সিঁড়ি ভাঙা চাতালে। সেখানে বসে আবার দু’দফায় লেবু চা খেয়ে বাড়ির পথ ধরা, অবশেষে। কবির সঙ্গে ঘুরে ঘুরে, সেদিন তুঙ্গ ব্যকরণ বোধে দুই সমার্থক শব্দের অর্থ – আপন/আপণ দু’ইই বড় নিবিড় ভাবে বুঝেছিলাম।   

উত্তরের সাবেক বাসিন্দারা তিনটি অঞ্চলকে বাজার বলে গণ্য করতেন – এক হাতিবাগান; দুই বউবাজার (গয়না কিনতে হলে) আর তিন হল ‘বিলাত’। এর কোনও মাঝামাঝি নেই। হাতিবাগানের ওপাশ পেরিয়ে যাঁদের আদিবাস, তাঁদের আবার মানিকতলা বাজার এবং কোলে মার্কেট এবং বিলাতটা কমন। আর দক্ষিণবাসীদের তো স্বর্গ ক্ষেত্র হল জগু বা যদুবাবুর বাজার, লেক মার্কেট আর গড়িয়াহাট। এছাড়া কেনাকাটা-বিলাসীদের তো সকলের প্রিয় নিউমার্কেট, যেখানে ফিরিঙ্গি পাড়া ব্যাপারটা বেশ জমজমাট ছিল; আর ছিল এখানকার মুসলিম দর্জি এবং অ্যাংলো দোকানের চামড়ার জুতো ও ব্যাগের আকর্ষণ। তবে আমার মা-মাসিরা যেহেতু তাঁদের বিয়ের আগে, বেশ কিছু বছর ল্যান্সডাউন এবং দেশপ্রিয় পার্ক অঞ্চলে থেকেছিলেন, তাই তাঁদের বিশেষ পছন্দের ছিল গড়িয়াহাটে ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা। আর হলিউডের ছবি দেখতে মেট্রো, এলিট, গ্লোব, নিউ এম্পায়ার এবং লাইট হাউস মানেই  – ফ্রেন্ডস কেবিনে দহিবড়া এবং নিউ মার্কেটের কামান ঘিরে প্রদক্ষিণ – এ তো আমার ছোট কেন বড় বেলাতেও।  

উত্তরের সাবেক বাসিন্দারা তিনটি অঞ্চলকে বাজার বলে গণ্য করতেন – এক হাতিবাগান; দুই বউবাজার (গয়না কিনতে হলে) আর তিন হল ‘বিলাত’। এর কোনও মাঝামাঝি নেই। হাতিবাগানের ওপাশ পেরিয়ে যাঁদের আদিবাস, তাঁদের আবার মানিকতলা বাজার এবং কোলে মার্কেট এবং বিলাতটা কমন।

আমি যখন গত শতাব্দীতে, মানে আশির দশকে এ পাড়ায় পড়াতে এলাম, দক্ষিনাপণ তখনও  জমেনি। এখন যেখানে মোহর কুঞ্জ, সেখানের খোলা মাঠে, এক মাস ধরে চলা এক্সস্পো মেলার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকতাম। সারা ভারতের হ্যান্ডলুম শাড়ি আর ড্রেস মেটেরিয়ালের থরে থরে সম্ভার। তখন শুনতাম, দিল্লিতে এসবের পাকা দোকান আছে। তাই সারা বছর যখন তখন যা ইচ্ছে তাইই পাওয়া যায়। এর পরে যখন মানিকতলা সিভিক সেন্টার হল, তাকে আমরা আহ্লাদে চেনাতে লাগলাম উত্তরাপণ বলে। এত মনোমতো ছিল যে বলার নয়। এখনও জানি যে সম্বলপুরী বস্ত্রালয় মানে খাস উড়িষ্যা খাদি বা পন্ডিচেরির পন্টেক্স বা মহারাষ্ট্রীয় টেক্সটাইল মানেই ‘উত্তরাপণ’ যার একটিও আজও দক্ষিণাপণে নেই। 

Dakshinapan
এই খোলামেলা ছড়ানো চত্বর, সিঁড়ি, ছাদ-বারান্দা, রঙিন আলো দক্ষিণাপণকে সবার থেকে আলাদা করে দেয়। ছবি সৌজন্য – mouthshut.com

তবে উত্তরের বাস উঠিয়ে দক্ষিণে আস্তানা গড়ে, শুরু হল দক্ষিণাপণের নেশা। এত সুন্দর করে সাজানো আর আলো ঝলমল যে সবসময় গমগম করছে, মেলাতলার মতোই। সঙ্গে ছিল হ্যান্ডলুম হাউসের মতো প্রিয় দোকান। তা ছাড়াও বেসরকারি উদ্যোগের নানা দোকান, যেখানে সবরকম জামা কাপড়ের পসরা। কলকাতার বাজারে তখনও ফ্যাব ইন্ডিয়া আসেনি। গড়ে ওঠেনি শপিং মলগুলোও। ছিল না এত ঘরে ঘরে গজিয়ে ওঠা বুটিকও। শুরু হয়নি এতো এতো মেলার চল। ফলে দক্ষিণাপণ হয়ে দাঁড়াল বড় আদরের এমন এক জায়গা, যেখানে ঘুরে বেড়ালেই ভারতবর্ষের বিপণি সম্ভার সব যেন হাতের কাছে। সেই সঙ্গে নানা প্রদেশের আসবাব আর গয়না।

প্রথম প্রথম হেসেই গড়িয়ে পড়তাম কিছু নামে। রামকানাই বা রামদুলালও নয়; আবার ডি সি এম, বোম্বে ডাইং, ক্যালিক্লথ বা গার্ডেন ভ্যারেলিও নয়। তবে ক্রমে সড়গড় হয়ে গেল – মৃগনয়নী, পুম্পুহার, বয়নিকা এবং প্রিয় হয়ে উঠল – লেপাক্ষি ও গারভি গুর্জারি। এরকমই ভালোলাগার মণিপুর, আসাম, ত্রিপুরা। কলেজপাড়ার থিয়েটার রোড, ক্যামাক স্ট্রিট ও চৌরঙ্গি রোড চষতে চষতে আগেই শিখেছি যে , এগুলো দোকান নয় সরকারি এম্পোরিয়াম। ফুলকারি, পূর্বাশা বা নাগাল্যান্ড এম্পোরিয়াম থেকে কেনা, কিছু না কিছু আমাদের সংগ্রহে তো ছিলই। কিন্তু এবার তার অনেকটাই জড়ো হল একই চত্বরে, প্রায় দিল্লির মতোই। সঙ্গে আবার বাংলার তন্তুজ এবং মঞ্জুষা। আবার অন্যসব এম্পোরিয়ামগুলোও ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেমন ছিল সেগুলোও রয়ে গেল। প্রথম প্রথম দাম যেন বেশি লাগত, তবে ব্যবহারেরও তো একটা ইচ্ছে গড়ে ওঠে, আর ঠিক সেটাই ঘটে গেল। যে সব শাড়ি লম্বা ঝুলতে দেখেই বুকের মধ্যে মেঘ ডেকে উঠত, তার দাম যদি বেশ জৌলুসময় ভাবে বেশি হয়ে দাঁড়ায়, তো আমরা টাকা জমাতে শুরু করতাম। অনেকটা সেই ভাঁড়ে পয়সা জমানোর মতো। তাই এ বছর ‘চান্দেরি’ তো আসছে বছর ‘ঘাটচোলা’। আর হঠাৎ করে উপহার প্রস্তাবে বা অন্য ভাবে খরচ বেঁচে যাওয়া টাকা থেকে গেলে ছুট্টে গিয়ে একটা সম্বলপুরি বা বিচিত্রপুরি বা আসামের মেখলা বা মণিপুরি শাড়ি। সে মানে লটারি পাওয়া!

Dakshinapan
ঘুরে ঘুরে প্রাদেশিক শাড়ি আর থানের কাপড় কেনার নেশা এখান থেকেই শুরু। ছবি সৌজন্য – cityshor.com

তবে সুতির নারায়ণপেড সব সময় আয়ত্তের মধ্যে; আর আয়ত্তের মধ্যে ভেবে ঝোঁক সামলাতে না ভেবে কিনে ফেলা, ঢালা রঙের সরু জরি পাড়ের লেপাক্ষি কটন, পারলে সবকটা রং। তখন তো শাড়ি ছাড়া ঘরে বা বাইরে আর অন্য কোনও পোশাক ছিল না আমাদের, তাই শাড়ি আর মানানসই ব্লাউজ কেনায় ছিল ছোঁ মারা উৎসাহ। সঙ্গে জুটল নানা প্রদেশের পোশাকি গয়না আর খোঁপা-বাহার কেনার হিড়িক। সে যেন অল্প বয়সের বসন্ত বাতাসে, ভেসে ভেসে কেনা। দোকানের ভেতর দেওয়ালজোড়া যেসব ফটো– শাড়ি গয়নার, তা দেখে মনে হত আমাদেরও যেন ঠিক অমনটাই দেখাচ্ছে। শৌখিন কলেজে পড়াতে এসে যে শিখলাম- গরমের মলমল বা হালকা সুতি, শীতের তসর, গরদ সিল্ক আর বর্ষায় সিনথেটিক– তারও ব্যাপক সুবিধে হল। সুবিধে হল শাড়ির ওপর শাড়ি রেখে সংগ্রহশালা বানাবার আসমানি আয়েশেও।  

তবে ক্রমে সড়গড় হয়ে গেল – মৃগনয়নী, পুম্পুহার, বয়নিকা এবং প্রিয় হয়ে উঠল – লেপাক্ষি ও গারভি গুর্জারি। এরকমই ভালোলাগার মণিপুর, আসাম, ত্রিপুরা। কলেজপাড়ার থিয়েটার রোড, ক্যামাক স্ট্রিট ও চৌরঙ্গি রোড চষতে চষতে আগেই শিখেছি যে , এগুলো দোকান নয় সরকারি এম্পোরিয়াম।  

ক্রমে বাড়তে লাগল দোকানের সংখ্যা। প্রাদেশিকের সঙ্গে সঙ্গে চালু সামগ্রি এবং একই ভাবে হ্যাঙারে ঝোলানো সিন্থেটিক শাড়ির বহর ও নানা রকম জুতোর শৌখিন দোকানও। ইতিমধ্যে সখিবয়স হড়কে যেতেই, আমাদেরও নজর শাড়ি থেকে সরে গুটি গুটি গিয়ে ঠেকল – পর্দা, চাদর, শতরঞ্চি আর হাল্কা রেজাই কেনায়; বা আর এক কাউন্টারে রাখা সাবান, মধু, ধূপ, শ্যাম্পু এসব সংসারি সওদায়। আর বাড়তে লাগল খাবার দোকান। পেটে একটু চিনচিন মানেই চাট রোল ফুচকা দহিবড়ার ডাক পড়েছে। ফলে শুধু ছুটকো কেনাকাটাই নয়, পুজোর বাজার ছাপিয়ে, বিয়ের বাজারও। মেয়ের বিয়েতে মনে আছে, চেষ্টায় ছিলাম, প্রায় সব প্রদেশের  শাড়ি দিয়ে তত্ত্ব সাজাবার। কতটা পেরেছিলাম তা আর মনে নেই, তবে মাতন হয়ে ছিল কেনাকাটায়। তখন আমার মনে পড়েছিল বালিগঞ্জে থাকা কিশোরদা, মানে কিশোরদার বউ মৈত্রীদির কথা। নান্দীকার নাট্যমেলায় যেদিন যে প্রদেশের নাটক থাকত, উনি সেই সেই দিন দক্ষিণাপণ সাফ করে কেনা  ওইসব প্রদেশের শাড়ি পরে নাটক দেখতে আসতেন। 

Dakshinapan
শাড়ি আর মানানসই ব্লাউজ কেনায় ছিল ছোঁ মারা উৎসাহ। ছবি সৌজন্য – cityseeker.com

গত দশ বছরে আমাদের ভোল বদলে যাওয়ায়, সব শাড়ি তো এখন পিছনের তাকে। দান করে দেওয়ারও জো নেই, কারণ শাড়ি এখন কে আর কোথায় পরে! এখন খালি রেডিমেড পোশাক, রেডিমেড ব্লাউজ। মোহর বুটিককে ছাপিয়ে, অরণ্য বুটিক যেখানে, কার্ড উপহার, আলোর শেড এবং দেশি গুড়, কী না পাওয়া যায়! পাহাড় পাহাড় জামাকাপড় তো আছেই। আর নতুন করে হালে এল রাজ্য সরকারের বিশ্ববাংলা। চাল তেল কাসুন্দি নাড়ুর সঙ্গে রফতানি যোগ্য চড়া দামের বাংলার তাঁত-জাত পোশাক, শাড়ি, কাঁথা। কিনতে না পারি ঢুকে দেখেও এই আরাম যে নাগালের বাইরে ব্যাঙ্গালোর সিল্কের দামেই বাংলার তাঁত এবং মসলিনও। আর পাওয়া যায়, মেশিন নিয়ে বসে থাকা গুচ্ছ খানেক দর্জি। কেনা জামা কাপড় যারা তক্ষুনি কেটেকুটে মাপমতো সেলাই করে দেবে। কত বাড়তি মানুষের যে অন্নসংস্থান হচ্ছে  এতে – কারণ জায়গাটা সরকারি। একটু ছাড়, একটু এলোমেলো বলেই যেন এত আপন।

Dakshinapan
জুটল নানা প্রদেশের পোশাকি গয়না আর খোঁপা-বাহার কেনার হিড়িক। ছবি সৌজন্য – cityshor.com

এই বয়সে এখন সব চেয়ে আরাম দক্ষিণাপণ যাওয়ায়। এখনও সকাল এবং বিকেলের স্বাভাবিক আলো মেখে এ ছাদ ও ছাদ পার হয়ে, কেনা কাটা করা যায়। দেখা যায়, কোনও গেম ছাড়াই নিজের হাত নিয়ে, পা নিয়ে হৈ হৈ করে বাচ্চাদের ছোটাছুটি; মধুসূদন মঞ্চে নাটকের থার্ড বেল পড়বার আগে টুক করে কিনে নেওয়া যায় কত কিছু। আর যে কোনও একটা খাবার দোকানে জমিয়ে বসে দেখা যায় মানুষের উচ্ছল কেনাকাটার জোয়ার। মনে পড়ে শান্তিনিকেতন থেকে লেখা মিষ্টুনীদির  সেই চিঠিখানির কথা “…… এবার মেঘের দিনে কলকাতায় গিয়ে দক্ষিণাপণ ঢুঁড়ে দু’টি মেঘলা রঙের কটকি কিনে, বিভোর বসে দুজনে মিলে চা খাব…।”

মনে পড়ছে সহকর্মী পিউয়ের কথা, যে থাকে এই দক্ষিণাপণের একেবারে গায়ে। তার কাছে আমার তো বটেই, প্রায় সকল বিভাগের আবদার- বক্তৃতা করতে আসা মান্য অতিথিদের উপহার কিনে এনে দেবার জন্যে। সে আমাদের জানায় কবে থেকে কোন কোন বিপণিতে শুরু হচ্ছে মহা ডিসকাউন্টের মোচ্ছব। এর বেশ কাছেই থাকে আমার ইশকুল-বন্ধু সংযুক্তাও। মাঝে মাঝেই ভাবি ওখানে গিয়ে দু’জনে বসে একটু আড্ডা জমাব। মনে মনে সে সব চলে। এখন অবশ্য আমার আস্তানাও দক্ষিণাপণের পিছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে লেক গার্ডেনস-মুখো তিরিশ পা; আর বারান্দায় দাঁড়িয়ে ডান দিকে তাকালেই, সাউথ সিটি মল এবং মাল্টিপ্লেক্স। মন তবু উড়ু উড়ু করে, শুধু বাঁদিকেই চলে যায়; সেই যেখানে পথ পেরলেই মধুসূদন মঞ্চ আর পিরামিডের মতো সিঁড়ি দিয়ে দিয়ে জোড়া কয়েকটা ছাদ এবং চাতাল বিছিয়ে আহ্লাদি দক্ষিণাপণ। আর ইন্ডিয়ান অয়েল অফিসের মাথায় টাঙানো সেই এক সাদা কালো ঘড়িখানি – অবিরল সময় এগিয়ে দিয়েও যার বয়স বাড়ে না।

Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

আড্ডা আর একা থাকা,দুটোই খুব ভাল লাগে।
লিখতে লিখতে শেখা আর ভাবতে ভাবতেই খেই হারানো।ভালোবাসি পদ্য গান আর পিছুটান। ও হ্যাঁ আর মনের মতো সাজ,অবশ্যই খোঁপায় একটা সতেজ ফুল।

3 Responses

  1. কী সুন্দর। কোথাও কোথাও নিজেকেও পেলাম। ওই যেখানে দাম ভেবে পিছিয়ে থাকা। পয়সা জমিয়ে সখের একটা জিনিস কেনা। ওই সৌখিনতা বড় প্রিয়। দক্ষিণাপণে গতবছর গিয়ে র‍্যাপার কিনেছিলাম সখিসঙ্গে। সেই র‍্যাপার জড়ানো ছবি দেখে কতলোকের প্রশ্ন! প্রশংসা! আর এই তো বছর শুরুতেই শীতের সময় দেওঘর থেকে এক বন্ধু এলো। এসেই বলে কিনা, চল দক্ষিণাপণে। একটা চমৎকার কারুময় স্টলে নিয়ে গেছিল। নামটা মনে পড়ছে না। দোতলায়। সবকটা জিনিস এত টানছিল। যেন এটা নিই ওটা নিই।

    এই গল্পের ভঙ্গিতে লেখাটা খুব সুন্দর। পরিস্থিতি পালটানোর অপেক্ষা। আবার যাবো। প্রিয় দক্ষিণাপণে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com