banglalive logo
[ivory-search id="382384" title="AJAX Search Form"]

গল্প: চাঁদ আঘাতের দিন

Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

Mental Health Home

রোদটা নেওয়া যাচ্ছে না। কে বলবে হেমন্তকাল, এখনও যা গরম অনায়াসে কোনও বাইরের দেশের কেউ এলে গ্রীষ্মকাল বলে ভুল করে ফেলবে। বেরনোর সময় কোথা থেকে একখণ্ড মেঘ উড়ে এসেছিল। এখন এক্কেবারে ধপধপে নীল আকাশ। প্রিয়াংশু একবার ঘড়িটা দেখে নিল। বারোটা চল্লিশ, তারমানে এখনও প্রায় ঘন্টা দুই আড়াই বসে থাকতে হবে। এই হোমটার এই একটা অদ্ভুত নিয়ম। রবিবার ছুটির দিন, একটু আগে খুলতে পারে, সে না। বরং অন্য দিনের থেকে দু’ঘণ্টা দেরিতে খুলবে। কিছু বললেই কত কথা শোনাবে, ‘রবিবার কোনও ডাক্তারবাবু ভিজিটে আসেন না, তাই ঘরগুলো পরিষ্কার করতে হয়, পেশেন্টদের ভালো করে স্নান করানোর ব্যাপার থাকে, এই দিন ভালো খাবার দেওয়া হয়, এই সব কিছু সারতে দেরি হয়ে যায়। আপনারা সপ্তাহের অন্য কোনও দিন আসুন।’ আর সেখানেই প্রিয়াংশুর অসুবিধা। এমন একটা ডিপার্টমেন্টে কাজ করে, রবিবার ছাড়া কোনও ছুটি নেই। অন্যদিন ছুটি চাইলেই বড় সাহেব মুখ হাঁড়ি করে বলে উঠবেন,‘এত ছুটি নিলে আমি ডিপার্টমেন্টটা চালাব কীভাবে একবারের জন্যে ভেবেছেন?’ 

প্রিয়াংশু কোনও উত্তর না দিয়ে একটা লম্বা শ্বাস ফেলে। কথাটা খুব একটা মিথ্যা নয়। ডিপার্টমেন্টের লোকজন কমতে কমতে এমন একটা জায়গায় এসেছে, একজন না এলেই বাকিদের উপর চাপ পড়ে যায়। তখন রাগারাগি, ঝগড়া ঝামেলা। এখন প্রিয়াংশুর এইসব আর ভালো লাগে না তার উপর মায়ের এমন অবস্থা
– দাদা, অন্যবারের মতো একটু আগে ভিতরে যাওয়া যাবে না?
প্রিয়াংশু হোমের দারোয়ান অমরদার কাছে গিয়ে খুব আস্তে আস্তে কথাগুলো বলে। এই হোমে প্রায় পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত আসার জন্যে মোটামুটি সবার সঙ্গেই একটা চেনাজানা হয়ে গেছে দারোয়ান ভদ্রলোক আগেও তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন কোনও কোনওদিন এক কাপ চা খেতে চাইতেন কিন্তু সেদিন কথাগুলো শুনে অমরদা খুব অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে বলে উঠলেন,
– আজ হবে না, চাপ আছে। উপর থেকে লোকজন এসেছে। একটা পেশেন্ট পালিয়েছে, চারদিকে খোঁজাখুজি চলছে। আপনাকে একটু অপেক্ষা করতেই হবে। 
প্রিয়াংশু একটু অবাক হয়ে প্রশ্ন করে,
– হোম থেকে পেশেন্ট পালাল?
– হ্যাঁ দাদা, কাল সন্ধ্যেবেলা পেশেন্টটা এল, ওর হাজব্যান্ড না কে যেন নিয়ে এল। কেউ ভালো করে মুখটাই দেখেনি, আজ সকাল থেকে মিসিং।

আর কোনও উপায় না দেখে প্রিয়াংশু একটা লম্বা শ্বাস ফেলে হোমের বড় দরজাটাকে ডান হাতে রেখে সামনে এগিয়ে যায়  প্রিয়াংশুর ব্যাগে সব সময় একটা হেডফোন রাখেঅফিস যেতে আসতে ট্রেনে জায়গা পেলে কোনও কোনওদিন মোবাইলে সিনেমা দেখে। সেদিনও হোমের সামনের পুকুরপাড়ে কানে হেডফোন গুঁজে বসে থাকার বেশকিছুক্ষণ পরে এক মহিলার গলা শুনে একটু চমকে উঠেছিল ঘাড় ঘোরাতেই চোখে পড়ে হাত দুই দূরে এক ভদ্রমহিলা তার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছেন। প্রিয়াংশুও একটু অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকে ভদ্রমহিলার হায়ের রং একটু চাপা, হাল্কা রঙের পোশাক পরে আছেন। কাঁধে একটা সরু ভ্যানিটি ব্যাগ ঝোলানো। প্রিয়াংশু একটু ভালো করে দেখে কান থেকে হেডফোন খুলে জিজ্ঞেস করে,
– আমায় কিছু বলছেন?
ভদ্রমহিলা কিছু উত্তর দেবার আগেই প্রিয়াংশুর পাশে বসে পড়ে বলে উঠলেন,
– ঐ দারোয়ান ভদ্রলোক আপনার কথা বললেন, আপনি প্রতি রবিবার আসেন।
প্রিয়াংশু একটু অবাক হয়ে বলে উঠল,
– হ্যাঁ, আমিই একমাত্র রবিবার দেখা করতে আসি। এমনিতে হোম রবিবারে বন্ধ, আমার একটা স্পেশাল পারমিশন করা আছে, তবে অফিসিয়ালি সেটাও বিকাল চারটের পর, অন্যবার এই অমরদাকে বলে একটু আগে ঢুকতে পারি। 
– আপনার সম্ভবত মা ভর্তি আছেন। 
প্রিয়াংশু একটা লম্বা শ্বাস ফেলে উত্তর দেয়,
– হ্যাঁ, পাঁচ বছর ধরে ভর্তি।
খানিকপর জিজ্ঞেস করে,
– আপনার কে…?
ভদ্রমহিলা  প্রিয়াংশুর কথার মাঝেই জিজ্ঞেস করেন,
– এখানে সামনাসামনি কোনও খাবার দোকান বা হোটেল আছে?
– সামনে তো নেই, স্টেশনের কাছে কয়েকটা হোটেল আছে। 
– এখন তো সময় আছে আপনি খেয়ে এসেছেন? 
প্রিয়াংশু একটু ইতস্তত করে উত্তর দেয়,
– সকালে কোনওদিনই সেরকম কিছু খাই না, ব্যাগে কলা বিস্কুট এইসব থাকে  
– আমার সঙ্গে যাবেন? বুঝতে পারিনি তো, খুব সকালে বেরিয়েছি, খিদে পেয়ে গেছে। 

Mental Home
এই হোমটার এই একটা অদ্ভুত নিয়ম…

প্রিয়াংশু আর একবার ঘড়িটা দেখে নেয়। এখনো কয়েকঘণ্টা দেরি। কিন্তু এখানে এভাবে একজন অচেনা মহিলার সঙ্গে যাওয়াটা কি ঠিক হবে? কথাগুলো ভেবে নিজের থেকেই বলে ওঠে
– আপনি একটা রিক্সা নিয়ে একাই চলে যেতে পারেন।
মেয়েটি মুচকি হেসে উত্তর দেয়,
– ভয় পাচ্ছেন? তাহলে জোর করব না। 
মেয়েটি এগিয়ে যেতেই পিছন থেকে প্রিয়াংশু বলে ওঠে,
– চলুন, স্টেশন কিন্তু বেশ দূর, রিক্সা নিতে হবে। 
– জানি, আপনি হোমের সামনের বড় দরজার কাছ থেকে রিক্সা ধরবেন না, পিছনের দিকটা থেকে রিক্সা চাপব। 
— কেন? ওদিকে আবার রাস্তা আছে নাকি? 
– আছে, আমি এর আগে গেছি। 
প্রিয়াংশু রিক্সার কাছে যাবার আগে শেষবারের মতো বলে ওঠে,
– বলছিলাম কী… আপনি একটা রিক্সা চেপে স্টেশন… 
ভদ্রমহিলা কোনও কথা না বলে প্রিয়াংশুর দিকে তাকাতেই প্রিয়াংশু একটু ইতস্তত করে বলে,
– তাহলে তো আলাদা রিক্সাতে চাপলেই হয়। 

ভদ্রমহিলা এবারেও কোন উত্তর না দিয়ে প্রিয়াংশুর দিকে এমনভাবে দেখেন যাতে স্পষ্ট বোঝা যায় বিষয়টা ওঁর ঠিক পছন্দ নয়। এরপর প্রিয়াংশু কোনও কথা না বলে একই রিক্সায় দুজনে চাপে। গুটিয়ে বসলেও ভদ্রমহিলার শরীরের কোমলতা বেশ স্পষ্ট অনুভব করেতার এই উনত্রিশ বছরের জীবনে এই প্রথম কোনও মহিলার সঙ্গে এক রিক্সায় চেপে যাচ্ছে। অফিসের যে দু’তিনজন মহিলা কাজ করেন, তাঁদের আবার দেমাকে মাটিতে পা পড়ে না, তাছাড়া কোনদিন এক রিক্সাতে চাপার প্রয়োজনও পড়েনি। স্টেশন থেকে প্রতিদিন হেঁটেই যাতায়াত করে। এভাবে রিক্সাতে যেতে প্রিয়াংশুর খুব অস্বস্তি হয়। ভদ্রমহিলাও কিছুক্ষণ চুপ করেই থাকেন, শুধু প্রিয়াংশুর নামটা জেনে নিজের নামটা বলেন, ‘রুমা বিশ্বাস’ তারপর আবার খানিক চুপ থাকবার পরে বলেন,
– একটা কথা জিজ্ঞেস আপনাকে জিজ্ঞেস করব? আমি আসলে ঠিক বুঝতে পারছি না..  

এবার প্রিয়াংশু ঘাড় ঘুরিয়ে ভদ্রমহিলাকে ভালো করে দেখল। আকাশে মেঘ জমতে শুরু করেছে, তবে সেই মেঘলা আলোয় ভদ্রমহিলাকে খুব সুন্দর লাগে। ভদ্রমহিলা জিজ্ঞেস করেন, 
– স্টেশনে ভালো টয়লেট আছে? মানে সেই সকাল থেকে…. 
প্রিয়াংশু প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেও উত্তর দেয়,
– লেডিস টয়লেটে কোনওদিন যাইনি তো..  
– আপনি লেডিস টয়লেটে যাবেন কেন?
কিছুক্ষণ রিক্সার নিজস্ব শব্দ ছাড়া আর কোনও শব্দ শোনা গেল না। তারপর প্রিয়াংশুই প্রশ্ন করে,
– এই হোমে আপনার কে ভর্তি আছে? 
– আমার এক বান্ধবী, বাবার অনেক সম্পত্তি পেয়েছে।  তা দেখে বান্ধবীর হাজব্যান্ড বান্ধবীকে পাগল বানিয়ে এখানে ভর্তি করে রাখতে চাইছে আমি তাকেই দেখতে এসেছি 
তার খানিক পরেই রুমা জিজ্ঞেস করেন,
– আপনার মা কি… 
শেষের কথাগুলো বলে আরো খানিকক্ষণ চুপ থেকে রুমা বলে ওঠেন,
– উনি কি হঠাৎ করে, নাকি… 
– বাবা মারা যাবার পরদুজন একসঙ্গে বাইকে চেপে বাজার থেকে ফিরছিল, রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্ট, মায়ের চোখের সামনে বাবার মাথার উপর দিয়ে ট্রাকের চাকা চলে যায়, ওখানেই মা অজ্ঞান হয়ে যায়, তারপর আর…. 
–আপনি কি প্রতি সপ্তাহেই আসেন ? প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে রুমা জিজ্ঞেস করেন।
– মোটামুটি। সপ্তাহের বাকি দিন অফিস থাকে, ছুটির খুব সমস্যা, লোক নেই, বাধ্য হয়ে এই রবিবারেই আসতে হয়?
– বাড়িতে আর কেউ…
– না, শুধু মা আর আমি ছিলাম। পাঁচবছর ধরে একা আমি 
– বিয়ে…
– করা হয়নি, বলতে পারেন জোটেনি।

Rikshaw Ride
প্রিয়াংশু কোনও কথা না বলে একই রিক্সায় দুজনে চাপে

 ভদ্রমহিলার একটা লম্বা শ্বাস টানার শব্দ প্রিয়াংশুর কানে যায়। কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকবার পর বলে, ওঠেন
– ছোটবেলা একটা গল্প পড়েছিলাম, এক বাবা প্রতিদিন তার মেয়ের চিঠির জন্যে পোস্ট অফিস যেত সবাই পাগল ভাবত একটা নতুন শব্দ শিখেছিলাম, ‘অবসেসড’ আচ্ছা আপনার কি কোনওদিন মনে  হয় না, এই পাগল, বা আরো যা কিছু আমরা ব্যবহার করি, এই শব্দগুলো ভীষণ আপাত? 
– আমার অত ভাববার সময় নেই, বিশ্বাস করুন। সকালে বেরোই রাতে ফিরি, নিজে রান্না করি, খেয়ে শুয়ে পড়ি। এরপর কে কী অত ভেবে…, তাছাড়া যখন একজনকে চোখের সামনে হঠাৎ হঠাৎ রেগে যেতে দেখতাম, একমাত্র ছেলের গায়ে খাবার ছুঁড়ে দিতে দেখতাম, বিছানায় জল ঢেলে দিতে দেখতাম…. পৃথিবীতে সব সময় সব হিসাব খাটে না ম্যাডাম।
রুমা আর কোনও কথা না বলে চুপ করে গেলেন। স্টেশন আসতেই হঠাৎ রিক্সা থেকে নেমে রিক্সাচালকের হাতে একটা একশো টাকার নোট ধরিয়ে বলে উঠলেন,
– আপনি যান। আমি খেয়ে একটু পরে যাচ্ছি। আর শুনুন আমিও অনেক কিছু… থাক, পরে বলব।
প্রিয়াংশুর এবার অবাক হওয়ার পাশাপাশি বেশ বিরক্ত লাগল। নিজেই নিয়ে এল, এখন আবার চলে যেতে বলছে, তাও কথা না বাড়িয়ে রিক্সাচালককে বলল,
– ভাই হোমের দিকে চলুন।
সামনের দিকের বড় দরজাটার কাছে নামতেই অমরবাবু প্রিয়াংশুকে দেখতে পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকার ইশারা করলেনপ্রিয়াংশু ভেতরে ঢুকতেই অমরবাবু খুব আস্তে আস্তে বললেন,
– আজ আর বেশিক্ষণ থাকবেন না, ভেতরে খুব ঝামেলা হচ্ছে।
– ও তাই! কিন্তু আজ তো একবার অফিসে যেতে হবে, পেমেন্টের ব্যাপার আছে।

অমরবাবু আর কিছু কথা না বলে এগিয়ে যাবার ইশারা করলেনপ্রিয়াংশু মাকে দেখে ওখানকার সিস্টারদের সঙ্গে কথা বলে অফিসের কাছে আসতেই বাইরে থেকে চিৎকার শুনতে পেল। কিছু সময় অপেক্ষা করতে লাগল। ওদিকে আকাশে মেঘ জমছে। প্রিয়াংশুর একটু ভয় হল। ঝড়বৃষ্টি হলে এই লাইনে খুব তার ছিঁড়ে যায়। অফিসের দরজা অল্প খুলে মাথাটা গলিয়ে ভেতরে ঢোকার অনুমতি চেয়ে নিল। ভেতরে তখন চারপাঁচজন দাঁড়িয়ে আছেন। প্রিয়াংশু টাকা জমার দেবার সময় আড়চোখে তাদের দিকে তাকাতেই একজনের হাতে একটা বড় ছবি দেখে চমকে উঠল। এ তো সেই রুমা! প্রিয়াংশু ওঁদের কিছু না বললেও বিষয়টা এতক্ষণে কিছুটা পরিষ্কার হল। একজন ‘আমার স্ত্রী আমার স্ত্রী’ বলে খুব চেল্লাচ্ছিলেন। প্রিয়াংশু আর সময় নষ্ট না করে অফিস থেকে বাইরে বেরিয়ে এল। তার আগে আড়চোখে আর একবার ছবিটা ভালো করে দেখে নিল। বেরনোর সময় অমরবাবুর কাছ থেকে আরো কিছু কথা শুনল। 
– কেমন মুরগা করে পালিয়ে গেল। আবার বলে কিনা বান্ধবী পাগল, তাকে দেখতে এসেছি!
রিক্সাতে চেপে স্টেশনে যাবার সময় এই কথাগুলো প্রিয়াংশুর মাথার ভেতরে ঝাঁপাঝাঁপি করছিল, নিজেকে গালও দিল। কিন্তু এমন অবস্থা কথাগুলো কোনওদিন কাউকে বলতেও পারবে না। তা হলেই অন্যরকম ব্যাপার ঘটে যাবে। রিক্সাচালককে তার ভাড়া মিটিয়ে ঘড়ি দেখল, ট্রেনটার একটু দেরি আছে। এক কাপ চা খেয়ে টিকিট কাউন্টারে থেকে টিকিট কেটে প্ল্যাটফর্মে উঠতেই চমকে উঠল। রুমা বসে! তাই তো! একটা গাছের নীচে বসে আছে। প্রিয়াংশু আড়চোখে আরও একবার আগাপাশতলা মেয়েটিকে দেখে নিল। নাহ।  ওর মধ্যে পাগলামির কোনও লক্ষণই নেই, রাস্তাতে আসার সময়েও পাইনি। 

railway-platform
টিকিট কেটে প্ল্যাটফর্মে উঠতেই চমকে উঠল। রুমা বসে!

বহুদিন মানসিক ভারসাম্যহীন একজনের সঙ্গে থাকার জন্যে এতদিনে তাদের কিছু লক্ষণ প্রিয়াংশুর বোঝা হয়ে গেছে। মেয়েটিকে দেখলেও না দেখার ভান করে মুখ ফিরিয়ে যেতে যাবে এমন সময় মেয়েটি প্রিয়াংশুর কাছে এসে বলে উঠল,
– এতক্ষণে তো সবই জেনে গেছেন, আমার বান্ধবীটি কে সেটিও জেনেছেন। এখন বলুন তো আমাকে কি পাগল মনে হচ্ছে?
প্রিয়াংশু ইতস্তত করে জবাব দিল, ‘না।’ মেয়েটি মুচকি হেসে বলে উঠল,
– আরেকটা উপকার করবেন? 
– বলুন। 
– কিছুদিন আপনার বাড়িতে থাকতে দেবেন? ভয় নেই, বিছানাতে জল ফেলব না, গায়ে খাবারও ছুঁড়ব না। 
প্রিয়াংশু কিছু উত্তর দিতে যাবে এমন সময় রেলের গেট পড়বার আওয়াজ শোনা গেল। প্রিয়াংশু মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ আমার ব্যাপারে এতকথা কীভাবে জানলেন?
রুমা উত্তর দিলেন,
– আজ ভোর থেকে সারাটা দিন অমরদার ঘরেই ছিলাম।
প্রিয়াংশু একটা চওড়া নিঃশ্বাস ফেলল। বলে উঠল,
– আর একটা টিকিট কাটতে হবে!

 

*ছবি সৌজন্য: Gallerist, Fizdi

Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

লেখালেখির সূত্রপাত ছোটবেলায়। বর্তমানে শিক্ষকতার পাশাপাশি নিয়মিত কবিতা ও গল্প লেখেন তথ্যকেন্দ্র, গৃহশোভা, নবকল্লোল দৈনিক স্টেটসম্যান, সুখবর, সাতসকাল, দেশ, আনন্দবাজার রবিবাসরীয়, এই সময়-সহ আরো বহু বাণিজ্যিক পত্রিকায়। এই পর্যন্ত ইংরেজিতে লিখিত কবিতা ও গল্প ভারত-সহ বহু দেশে প্রকাশিত। নিবন্ধ ও ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে বাংলালাইভ, মহানগর, দ্য ওয়াল-সহ বহু অনলাইন ম্যাগাজিনে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা সাত।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com