এই বছর জুন মাসে মা একদিন আমাকে বলল, সেদিন নাকি বিশ্ব পরিবেশ দিবস। আমি তো পরিবেশ মানেই জানি না। তাই মাকেই জিজ্ঞেস করলাম। মা আমাকে বুঝিয়ে বলল। সবটা বুঝতে পারিনি। কিন্তু যেটুকু বুঝেছিলাম, তাই দিয়েই এই স্বপ্নের গ্রামের ছবিটা এঁকে ফেললাম।
মাকে বললাম, আমার স্বপ্নের গ্রামে থাকবে সবুজ গাছে ঘেরা ছোট্ট একটা কুটির। গাছে থাকবে পাখি। ভোরবেলা পাখির ডাকে আমার ঘুম ভাঙবে। জানালা খুললেই দেখতে পাব দূরের পাহাড়ের মাঝখান থেকে সূর্য উঠছে। আর আমার দিকে তাকিয়ে হাসি হাসি মুখে বলছে, সুপ্রভাত অবন্তিকা!!
জানালা দিয়ে দেখব নীল টুকটুকে আকাশে সাদা তুলোর মতো মেঘ ভাসছে। আর একঝাঁক পাখি উড়ে যাচ্ছে। যেই দরজা থেকে উঠোনে পা বাড়ালাম, সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুধের মতো সাদা খরগোশ। কানগুলো আবার গোলাপি। কিন্তু আমি যেই আদর করব বলে ধরতে গেলাম, সেই ওরা আমার সঙ্গে লুকোচুরি খেলা শুরু করল।
আমার কুটিরের পাশে কী আছে জানো? ছোট্ট একটা নদী কুলকুল করে বয়ে যাচ্ছে। মাঝি গান গাইতে গাইতে নৌকো চালাচ্ছে সেকানে। হাঁসগুলো সাঁতার কাটতে কাঁটতে একটা আর একটার দিকে জল ছিটিয়ে খেলা করছে। আর জলে ফুটেছে কী সুন্দর পদ্মফুল। দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। এত সুন্দর জায়গা ছেড়ে আমি আর কোথাও যেতে চাই না। এখানেই থাকতে চাই সবসময়।
অবন্তিকা দোলনা ডে স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। বয়স সাড়ে ছয়। নিজের কল্পনার জগতে বিচরণ করতে সে বড় ভালোবাসে। মাঝে মাঝে সেটা প্রকাশ হয় তার আঁকা ছবিতে। রংতুলিতে জীবন্ত হয়ে ওঠে তার শিশুমনের কল্পনার অলি গলি।