banglalive logo
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

মহামারী ও দোষারোপ

Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

Black Death
১৯৪৩ – কোনারকে সূর্য মন্দিরের ভাস্কর্য দেখে সত্যজিতের করা স্টেনসিল স্টাডি। তিনি তখন ব্রিটিশ বিজ্ঞাপন সংস্থায় গ্রাফিক শিল্পীর চাকরি করছেন।

চোদ্দো শতকের মাঝামাঝি ইউরোপ, ভয়াবহ প্লেগে আক্রান্ত। শ’য়ে শ’য়ে মানুষ মারা যাচ্ছেন প্রতিদিন। ডাক্তার-বদ্যি কোনও আশার আলো দেখাতে পারছেন না। এই অসুখ ঈশ্বরের রোষের বহিঃপ্রকাশ এবং প্রার্থনাই বাঁচার একমাত্র পথ, এ কথা বলছেন অনেকেই। মানুষও ভরসা হারিয়েছে ডাক্তারি বিদ্যার উপর। বরং নানা তত্ত্ব হাওয়ায় ঘুরছে – যেমন আট পা-ওলা পোকা, কালো বরফ, সাপ-ব্যাঙের বন্যা পৃথিবীতে এই রোগ নিয়ে এসেছে। কিন্তু কোনও তত্ত্বই বিপদ থেকে মুক্তির পথ দেখাচ্ছে না।

এমন সময় ইউরোপের বড় অংশ জুড়ে শুরু হল ইহুদি-নিধন। প্রথম ঘটনাটা ঘটল ফ্রান্সের তুলোঁ শহরে – ১৩৪৮ সালের এপ্রিল মাসের একদিন মারা হল ৪০ জন ইহুদিকে। তারপর নানা জায়গা থেকে এ রকম খবর আসা শুরু হল –এরফুর্ট, বাসেল, ফ্রাঙ্কফুর্ট, মাইনজ (Mainz), কোলন- কোনও শহরই বাদ রইল না এই উন্মাদনা থেকে। ক্রমে ইউরোপের পূর্ব দিকেও ছড়িয়ে পড়ল ইহুদি বিদ্বেষ। ইহুদিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কি? তাঁরা নাকি প্লেগ ছড়ানোয় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন। বিষিয়ে দিয়েছেন কুয়োর জল, ঝরনা, নদী আর তেল এবং চিজের মতো খাবার। ইউরোপ জুড়ে খ্রিষ্টানদের মেরে ফেলাই তাঁদের উদ্দেশ্য। আর সেই কারণেই নাকি তাঁরা ছড়িয়ে দিয়েছেন এই গোপন অসুখ।

পোপ তখন ষষ্ঠ ক্লেমেন্ট। তিনি আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন এই নির্মম হত্যালীলা। মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ইহুদিদের এই ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দাঁড়ায় না, কারণ তাঁরাও প্লেগে মারা যাচ্ছেন খ্রিষ্টানদের মতোই। শুধু তাই নয়, এমন সব জায়গা যেখানে ইহুদিরা নেই, বা থাকলেও হাতে গোনা, সেখানেও এই অসুখ ছড়িয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা? যুক্তি-বুদ্ধির ধার ধারেননি উন্মত্ত মানুষ। কোনও কোনও ঐতিহাসিক এই ইহুদি-নিধন যজ্ঞের মধ্যে শ্রেণী বিদ্বেষের বীজ খুঁজে পেয়েছেন। বড়লোক ইহুদি, যাঁদের অনেকেই মহাজনি কারবারের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কৃষক-শ্রমিকদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ছিল প্লেগের সময়  ইহুদিদের উপর এই আক্রমণ, বলেছেন তাঁরা। অন্য দিকে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যযুগীয় ইতিহাসের অধ্যাপক স্যামুয়েল কোন জুনিয়র দেখিয়েছেন, প্রতাপশালী ও সম্পন্ন শ্রেণির খ্রিষ্টানরা, এমনকি তৎকালীন পবিত্র রোমান সম্রাট চতুর্থ চার্লস স্বয়ং কী ভাবে উৎসাহ দিয়েছিলেন ও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন এই হত্যালীলায়।

ঐতিহাসিকদের কূটতর্কে না ঢুকলেও এ কথা অনস্বীকার্য যে প্লেগ আক্রান্ত ইউরোপ এই সময় (বিশেষ করে ১৩৪৮ থেকে ১৩৫১ সালের মধ্যে) সাক্ষী ছিল এক ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক মুহূর্তের। শুধু ইহুদিরাই নন, কোথাও কোথাও তাঁদের সঙ্গে আক্রান্ত ও নিহত হয়েছিলেন ভিখারি ও ‘বহিরাগত’রা। আর সিসিলিতে আবার হিংসার বিশেষ লক্ষ্য ছিলেন কাটালানরা।

এখন, বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর বা কোনও নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর উপর এই সামষ্টিক আক্রমণকে কী ভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব? মধ্যযুগীয় বর্বরতা, কুসংস্কার, সমাজের নানা স্তরে ছড়িয়ে থাকা ব্যাপক সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ? নাকি হতাশা ও মৃত্যুভয় মানুষকে এতটা হিংস্র করে তুলেছিল? বলা মুশকিল। তবে এই মুহূর্তটিকে ব্যাতিক্রমী মুহূর্ত হিসাবে দেখলে ভুল হবে। চোখ কান খোলা রাখলেই আমরা টের পাব, যখনই কোনও মহামারী ছড়িয়েছে, সমাজের সংখ্যাগুরু অংশের মানুষ দোষ খুঁজেছেন কোনও বিশেষ সম্প্রদায়, জাতি বা নির্দিষ্ট কোনও শ্রেণির মধ্যে।

মহামারীর নামকরণের ধরন দেখলেই এই মানসিকতার এক রকম আন্দাজ পাওয়া যায়। ১৯১৮-১৯ সালের বিশ্ব জোড়া ইনফ্লুয়েঞ্জা আজও বেশি পরিচিত  স্প্যানিশ ফ্লু নামে। তবে স্পেন থেকে এই অসুখের উৎপত্তি কিনা, তা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। স্পেন যেমন এই অসুখকে ফ্রেঞ্চ ফ্লু নাম দিয়েছিল – ফ্রান্স থেকে এসেছে এই দাবিতে। অর্থাৎ নামকরণ ও উৎস সন্ধানের মধ্যেই  ছিল দোষারোপ করার চেষ্টা। আগে এবং পরে এ রকম উদাহরণ অজস্র।

রেনেসাঁ ইউরোপে যখন সিফিলিস ছড়াতে শুরু করে, তখন অনেকেই তাকে “ফরাসি অসুখ” বলে অভিহিত করেন। ফরাসিরা আবার দোষ চাপায় ইতালীয়দের উপর। ওলন্দাজরা স্পেনীয় অসুখ, রাশিয়ানরা পোলিশ অসুখ আর জাপানীরা পর্তুগিজ অসুখ হিসাবে সিফিলিসকে চিহ্নিত করেন। আবার তুর্কীদের কাছে ছিল এটা “খ্রিষ্টান অসুখ”। তাহিতিতে ক্যাপ্টেন কুক আবার শুনেছিলেন এই অসুখকে বলা হয় “ব্রিটিশ অসুখ”। এই ধরনের নামকরণ নিয়ে এখন ওয়র্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (WHO) আপত্তি রয়েছে। ২০১৫ সালে এক বিবৃতিতে তাদের মুখপাত্র বলেছিলেন, যে কোনও গোষ্ঠী বা নির্দিষ্ট জায়গা ধরে অসুখের নামকরণ সেই অঞ্চলের মানুষদের এবং সেখানকার অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।  তাই স্প্যানিশ ফ্লু বা রিফট ভ্যালি ফিভার ধরনের নাম না ব্যবহার করাই বাঞ্ছনীয়। তেমনই কোনও বিশেষ ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠী বা পশুর নামে (যেমন সোয়াইন ফ্লু) অসুখের নাম দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে বলা হয় এই আবেদনে। কিন্তু এই ধরনের আবেদনে সাধারণ মানুষ কেন, দেশ বিদেশের নেতারাই এখনও তেমন কর্ণপাত করেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং কোভিড-১৯-কে বারবার “চায়না ভাইরাস” বলে সম্বোধন করেছেন ও এই অতিমারীর পিছনে চিনের ষড়যন্ত্র খুঁজে চলেছেন। ঠিক একইরকম ভাবে কয়েক বছর আগেই  H1N1 ইনফ্লুয়েঞ্জাকে মেক্সিকান ফ্লু হিসাবে চিহ্নিত করার প্রবণতা দেখা গিয়েছিল নানা দেশে, বিশেষ করে আমেরিকায়। আর এই নামকরণ যে সরল নিষ্পাপ নয়, সেটা সাম্প্রতিক ঘটনার দিকে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে।

fresco
ট্রায়ামফ অফ ডেথ ফ্রেসকো যেখানে প্লেগ কে ঘোড়ার কঙ্কালের রূপক দিয়ে দেখানো হয়েছে। ছবি সৌজন্য – ancient.eu

কোভিড-১৯ অসুখের শুরু চিনের উহান প্রদেশে, গত ডিসেম্বরে। অতিমারীর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে বিশ্বের নানা দেশে বসবাসকারী চিনে মানুষদের উপর আক্রমণ, তাঁদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি ইত্যাদি। তাঁরা “অখাদ্য-কুখাদ্য” খান, তাঁদের অভ্যাস অপরিষ্কার আর তাই তাঁদের শরীর থেকে রোগ ছড়াচ্ছে বা ছড়াবে এই ধরনের মন্তব্যে ছেয়ে গেছে ওয়াটস্যাপ ও ফেসবুক। এই অসুখকে “চায়না ভাইরাস” বলার মধ্যে এই মানসিকতাকেই উশকানি দেওয়া হয়, ঠিক যেমন H1N1 ইনফ্লুয়েঞ্জাকে মেক্সিকান ফ্লু বলায়।

তবে কোনও বর্ণ বা জাতিবিদ্বেষই মহামারীর সময়ে আচমকা আকাশ থেকে পড়ে না। মেক্সিকো থেকে সীমান্ত পেরিয়ে আসা মানুষের প্রতি কখনওই তেমন সদয় হতে পারেন না আমেরিকার সমাজের বড় অংশ। ঠিক তেমনই, চিন থেকে আসা মানুষেরা ইউরোপ আমেরিকা-সহ পৃথিবী জুড়েই যুগে যুগে বর্ণবিদ্বেষের শিকার। ইতিহাসের পাতা থেকে আরেকটা উদাহরণ দিই। ১৯০০ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে যখন প্লেগ ধরা পরে, সবচেয়ে আগে চিনেপাড়া ঘিরে ফেলেন শহরের কর্তাব্যক্তিরা, ঢোকা বেরোনো আটকানো শুরু হয়। শহরের কেউ কেউ চিনেপাড়া আগুন দিয়ে ধ্বংস করার প্রস্তাবও দেন এই সময়ে। বলেন একমাত্র তাহলেই নির্মূল হবে এই রোগ। মনে রাখা দরকার যে এই ঘটনার ঠিক ১৮ বছর আগেই (১৮৮২) আইন করে আমেরিকা চৈনিক অভিবাসন আটকাতে তৎপর হয়েছিল। অর্থাৎ বিদ্বেষের পরিবেশ ছিলই, মহামারির ভয় কেবল আরও উশকে দিয়েছিল এই মনোভাবকে।

প্রসঙ্গত বলে রাখি, আমাদের আজকের ভারতবর্ষের ছবিটাও কিন্তু খুব আশাপ্রদ নয়। করোনাকে আমরাও “চায়না ভাইরাস” ভাবতে ও বলতে শিখেছি। কলকাতা শহরের চিনে পাড়ার রেস্তোরাঁ সব শুনশান সেই ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়া থেকেই, যদিও তখনও অন্যান্য অঞ্চলের রেস্তোরাঁয় ভিড় ছিল স্বাভাবিক। এর পাশাপাশি, ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রদেশের বাসিন্দাদেরও, তাঁদের “চিনা সদৃশ” চেহারার জন্য, সম্মুখীন হতে হয়েছে নানা বিদ্রূপ বিদ্বেষের। ভারতে আবার বর্ণের সঙ্গে জুড়েছে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা আর জটিলতর হয়েছে ঘৃণার রাজনীতি। অন্য দিকে চিন থেকেও এখন আসতে শুরু করেছে বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণের খবর। বিদেশিরা “জঞ্জাল”, বিশেষ করে চিনে বসবাসকারী কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের মধ্যে ভাইরাস এখনও লুকিয়ে আছে, এই ধারণা ছড়াচ্ছে সে দেশে।

ইতিহাসে অবশ্য ব্যতিক্রমী উদাহরণও আছে। ১৯১৮-১৯ সালের ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারীর সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাভেন শহর ছিল এই রকম এক ব্যতিক্রমী মুহূর্তের সাক্ষী। সে সময়ে এই শহরের বিশ শতাংশের বেশি মানুষ ছিলেন ইতালীয়। তাঁদের বড় অংশ গরিব এবং বেশিরভাগেরই বাস শহরের কিছু নির্দিষ্ট মহল্লায়। সবচেয়ে বড় কথা, এই শহরে ইতালীয়দের মধ্যে মৃতের হার ছিল মার্কিনদের দ্বিগুণ। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতেও ইতালীয়দের আচার-অভ্যাস, বা বসবাসের ধরনকে ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য দায়ী করেনি নিউ হ্যাভেনের নাগরিক সমাজ। সংকটের সময়ে এই সৌহার্দ্যের স্বরূপটি বুঝতে চেষ্টা করেছেন ঐতিহাসিক জুলিয়া এফ আরউইন।

এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি প্রায় একসঙ্গে ঘটেছিল। আরউইনের মতে সেখানেই খুঁজতে হবে সৌহার্দ্যের কারণ। এই সময়টায় আমেরিকায় জাতীয়তাবাদ তুঙ্গে এবং পাশাপাশি জোরকদমে চলছে অভিবাসীদের “মার্কিনিকরণের” প্রয়াস (ইংরাজি শিক্ষা, মার্কিন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিতি ঘটানো ইত্যাদি)। যুদ্ধ হোক বা মহামারী – মানুষে মানুষে একতা ও সহযোগিতাই লড়ার পথ – এই ধারণা ছড়িয়ে দিতে উদ্যত হয়েছিলেন দুই সম্প্রদায়ের মুরুব্বি গোছের লোকেরা ও প্রশাসন। ইংরেজি ও ইতালীয় ভাষার খবরের কাগজেও যুদ্ধ ও মহামারির সময় পারস্পরিক সহযোগিতা, ধৈর্য ও সাশ্রয়ের প্রয়োজন নিয়ে একাধিক প্রবন্ধ ছাপা হয় এই সময়ে। এমনকি ইংরাজি দৈনিকে অভিবাসীদের প্রতি সহানুভূতির প্রয়োজন নিয়েও লেখালিখি হত নিয়মিত। একটি বিশেষ ঐতিহাসিক মুহূর্ত ও নাগরিক সমাজের আপ্রাণ চেষ্টা নিউ হ্যাভেন শহরে শান্তিসম্প্রীতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল চরম দুঃসময়েও।  তবে নিউ হ্যাভেন যে নেহাতই ব্যাতিক্রম তা বারবার নিজের লেখায় মনে করিয়ে দিয়েছেন জুলিয়া।

কিন্তু মহামারীর সময়ে সদ্ভাব সম্প্রীতি বিরল কেন? আসলে মহামারীর প্রকোপের সামনে মানুষ বড় অসহায়। অন্তত যতক্ষণ না বিজ্ঞান তার মোকাবিলা করতে পারছে। তাই বোধহয় ভয়, রাগ, চিন্তা সেইসময় মানুষকে –বা বলা ভালো অনেক মানুষকে – গ্রাস করে। সে একদিকে যেমন আশ্রয় খোঁজে ঈশ্বর ও অলৌকিক নানা শক্তির কাছে, অন্যদিকে শত্রু খোঁজে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার জন্য। কেন হল, কী ভাবে হল, কী ভাবে আটকানো যাবে রোগের প্রকোপ, তার উত্তর খোঁজে নানা ষড়যন্ত্রের গল্পে ও সংস্কারে। অবশ্যই যে কোনও সংকটের মতো মহামারির সময়েও বহু মানুষ পারস্পরিক সাহায্য ও সংহতির কথাও বলেন। এই মুহূর্তেই তো দেশে বিদেশে বহু মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ত্রাণের কাজে। কাগজে কাগজে চোখে পড়ছে ব্যাক্তিগত ত্যাগ ও সাহসের নানা গল্প। কত মানুষ প্রাণপন প্রতিহত করে চলেছেন বর্ণবিদ্বেষ বা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রয়াস, ভরসা রাখতে বলছেন বিজ্ঞানে আর চিকিৎসায়। বলা চলে মহামারীর মতো সংকটের মধ্যে নিহিত থাকে দু’রকম সম্ভাবনাই – একদিকে সাম্প্রদায়িকতা বা শ্রেণি বিদ্বেষ এবং অন্য দিকে বর্ণ-ধর্মের ঊর্ধ্বে গিয়ে জোট বাঁধার চেষ্টা। ইতিহাসে যদিও প্রথম উদাহরণই বেশি, তবে দাঁড়িপাল্লা এখন বা অদূর ভবিষ্যতে অন্যদিকে ঝুঁকতেও তো পারে! সারা পৃথিবী জুড়ে যখন অবিশ্বাস, ভয় ও বিদ্বেষের হাওয়া, তখন এই সম্ভাবনাটুকুই হোক আমাদের সম্বল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com