banglalive logo
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

গৌরকিশোর : নিরীশ্বরবাদ বনাম ঈশ্বরের পথ (স্মৃতিচারণ)

Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

Gourkishore Ghosh

আজ ২০শে জুন শ্রী গৌরকিশোর ঘোষের জন্মবার্ষিকী। যদিও উইকিপিডিয়ায় উল্লেখ করা আছে ওঁর জন্মতারিখ ২২শে জুন, সে তথ্য ভুল। বহু চেষ্টাতেও তাদের এই ভুল ভাঙানো যায়নি। এই প্রবাদপ্রতীম সাংবাদিক ও লেখকের জন্মবার্ষিকীতে বাংলালাইভের পাঠকদের জন্য কলম ধরলেন ওঁর সুযোগ্য পুত্র শ্রী ভাস্কর ঘোষ। 

(১)

জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের ‘বাঙ্গালা ভাষার অভিধান’ অনুযায়ী ‘ নিরীশ্বর’ শব্দের অর্থ হল [নির্(নাই) + ঈশ্বর যার মতে], (বিশেষণ), ঈশ্বরহীন, ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকারকারী, নাস্তিক ৷ ‘নিরীশ্বরবাদী’ বলতে জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস বলছেন ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকারকারী ৷ আবার হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ অনুযায়ী ‘নিরীশ্বর’ শব্দের অর্থও একই ৷ ঈশ্বররহিত(বাদ), নাস্তিক৷ ‘নাস্তিক’ শব্দের ব্যাখ্যা হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন এইভাবে – ‘পরলোক নাই’ – ইহা যাহার মতি, পরলোকে অবিশ্বাসী, ঈশ্বরে অবিশ্বাসী, ঈশ্বরনাস্তিত্ববাদী৷ আমার বাবা শ্রী গৌরকিশোর ঘোষ ছিলেন স্বঘোষিত নিরীশ্বরবাদী ৷ অর্থাৎ বাংলাভাষার দুই দিকপাল পন্ডিতের কথানুযায়ী বাবা পরলোকে অবিশ্বাসী, ঈশ্বরে অবিশ্বাসী ছিলেন ৷ আর গৌরকিশোরকে যারা ঘনিষ্ঠভাবে চিনতেন তাঁরা জানতেন উনি যেটা মন থেকে বিশ্বাস করতেন তাঁর জীবনকে সেই খাতেই বয়ে নিয়ে যেতেন৷

তাহলে এই লেখা কেন? আসলে আমার অনেকদিন থেকেই মনে হয় গৌরকিশোর ঘোষকে অভিধানের কোনও নির্দিষ্ট ছকে ফেলা একেবারেই অসম্ভব৷ এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই বাবা কোনও রকম অলৌকিকতায় বিশ্বাস করতেন না ৷ ঈশ্বর,পরলোক ইত্যাদি শব্দগুলোকে খুব সচেতনভাববেই নিজের জীবনদর্শন থেকে শতহস্ত দূরে রেখেছেন বরাবর৷ তবু ওঁর জীবনদর্শন বেয়ে চলার পথ এবং ঈশ্বর এবং ঈশ্বর অনুগামীদের মুখনিসৃত শব্দগুলো পরোক্ষভাবে কোথাও যেন এক হয়ে মিশে গেছে৷ বাবা নিজের মতামত কখনওই অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতেন না৷ নিজের বক্তব্য পেশ করতেন৷ অন্যকে ভাবার এবং তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দিতেন৷ আমার মা – ঠাকুমা আবার পূজা আচ্চা করতেন নিয়মিত৷ বাবা কখনও কখনও পুজোর বাজারও করে দিয়েছেন৷ কিন্তু সারাদিন উপোস করে সন্ধ্যাবেলায় পুজো করা বাবার বিলকুল না পসন্দ ছিল৷ কারণ মা-ঠাকুমাকে নিয়মিত ওষুধ খেতে হত ৷ আবার উপোস করে ওষুধও খাওয়া চলবে না৷ ছোটবেলায় এই কারণে বাবাকে প্রচন্ড বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখেছি একাধিকবার ৷ কিন্তু কোনওদিনের জন্যও মা-ঠাকুমাকে পুজো করতে বাধা দেননি৷ কারণ একটাই ৷ অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বাবার নীতিবিরুদ্ধ ছিল৷ আমার বড়দিদি আর আমি ঈশ্বরের পূজারী ৷ অন্যদিকে আমার ছোড়দিদি বাবার মতোই নিরীশ্বরবাদী ৷ আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবেই নিয়েছি ৷

বাবা নিজের মতামত কখনওই অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতেন না৷ নিজের বক্তব্য পেশ করতেন৷ অন্যকে ভাবার এবং তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দিতেন৷

গৌরকিশোর ছিলেন অহিংসা, মানবতা ,পরধর্মসহিষ্ণুতা এবং গণতন্ত্রের একনিষ্ঠ পূজারী৷ আশ্চর্যের ব্যাপার গৌরকিশোরের এই দর্শনের সঙ্গে যাঁর ভীষণ মিল তিনি হলেন প্রবলভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাসী মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ৷ অথচ বাবা কিন্তু জীবনভর মানবেন্দ্রনাথ রায়ের অনুগামী ছিলেন৷ রবীন্দ্রনাথের ‘মানুষের ধর্ম’-এর প্রভূত প্রভাব পড়েছে বাবার উপরে৷ কিন্তু মহাত্মা গান্ধী নন৷ অথচ মহাত্মা গান্ধী এবং গৌরকিশোর উভয়ের দর্শনই বলছে মানুষ যদি সত্য থেকে বিচ্যুত হয়,তবে তার মনুষ্যত্ব থাকে না৷

নিজের মত বরাবর দৃঢ়তার সঙ্গে প্রকাশ করেছেন গৌরকিশোর। ছবি ভাস্কর ঘোষের সৌজন্যে।

( ২ )

মানুষ নৈতিকতা থেকে বিচ্যুত হলেও তার মনুষ্যত্ব থাকে না৷ গান্ধী আপামর জনসাধারণের মধ্যে মনুষ্যত্ব প্রতিষ্ঠা করতেই চেয়েছিলেন ৷ মানুষের অন্তরে প্রেমের জাগরণ ঘটাতে চেয়েছিলেন ৷ চেয়েছিলেন মানুষের বিবেকের উদ্বোধন ঘটুক৷ এই ভাবনায় গৌরকিশোর ঘোষও একই পথের পথিক ৷ বাবার কথায় “নিজের কাজ আমরা নিজেরা করে নিতে পারিনা বলেই সে কাজটা অন্য লোককে দিয়ে করিয়ে নিতে হয়৷ আমাদের গু-মুতও অন্যকে সাফ করে দিতে হয়৷ এবং তারা হরিজন হয়ে যায়৷ তারা হয় অস্পৃশ্য৷” দীর্ঘদিন ধরে এই কর্ম-ভেদ মানুষকে মানুষের কাছ থেকে সরিয়ে রেখেছে ৷ এই অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধীর মতো গৌরকিশোরও সর্বদাই একই কথা বলে গেছেন ৷ এই ব্যাপারে আমি সাংঘাতিক মিল পাই ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর মন্দির সংলগ্ন বাগানের ‘জমাদার’ রসিকের কথোপকথনের ঘটনা৷ নিম্নবর্গীয় বলে রসিকের মন্দির চত্বরে প্রবেশ করা এবং ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণদেবের পদস্পর্শ করার ওপরে বাধানিষেধ ছিল৷ পরে ঘটনাচক্রে ঠাকুর তা জানতে পেরে ‘নহবত’এর কাছে সমাধিস্থ হন৷ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে রসিকের মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করে কাছে টেনে নেন৷ পরে শ্রীশ্রী ঠাকুর নিজের চুল দিয়ে রসিকের বাড়ির উঠোন পরিষ্কার করে দেন৷ অর্থাৎ এক্ষেত্রেও স্বয়ং ঈশ্বর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব আর নিরীশ্বরবাদী গৌরকিশোর মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছেন ৷

gourkishore ghosh, shambhu mitra, tripti mitra
শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রর সঙ্গে গৌরকিশোর ঘোষ। হুগলির ত্রিবেণীর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সৌজন্যে ভাস্কর ঘোষ।

বাবাকে দেখেছি কোনও বিষয়ে গভীরভাবে কাজ করতে চাইলে সেই বিষয়ের খুঁটিনাটি সমস্ত কিছুই জানার চেষ্টা করতেন ৷ একটু বুঝিয়ে বললে সুবিধা হবে৷ সকলেই জানেন ১৯৬৯-৭০ সালে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়ে যায় ৷ নকশালপন্থীদের অতি উগ্র রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই ত্রাসের সৃষ্টি করে ৷ আমরা তখন উত্তর কলকাতার বরাহনগরে থাকি৷ সেই সময়ে বরাহনগর ছিল নকশালদের অন্যতম প্রধান ডেরা৷ সেখানে বসেই বাবা দিনের পর দিন বিপথগামী তরুণদের বারবার বলার চেষ্টা করেছেন হিংসা এবং হিংস্রতা মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেয় না৷ বড় জোর এক স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে তাকে আর এক স্বৈরাচারের শৃঙ্খলে নিয়ে আবদ্ধ করে৷ গণতন্ত্রই মানুষের স্বাধীনতাকে জিইয়ে রাখে৷ কেননা গণতন্ত্রই একমাত্র ব্যবস্থা যেখানে মতবিরোধকে সসম্মানে স্বীকার করে নেওয়া হয়। গণতন্ত্রে বিরোধিতাকে সম্মান দেওয়া হয় বলেই এখানে পরিবর্তন সহজে হয়৷ এবং আজকের ক্ষমতাসীন নেতা আগামীকাল বিরোধী নেতার আসনে গিয়ে সভ্য আচার-আচরণের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন৷

সত্তরের দশকে জরুরী অবস্থা চলাকালীন গ্রেফতার হন গৌরকিশোর ঘোষ। সৌজন্যে ভাস্কর ঘোষ।

নকশালরা বাবার লেখার বক্তব্য মেনে নিতে পারেনি৷ বাবার উদ্দেশে মৃত্যুদন্ড দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল৷ নকশালদের মুখপত্র ছিল ‘দেশব্রতী পত্রিকা’ ৷ আমাদের বরাহনগরের বাড়িতে অন্যান্য পত্রিকার সঙ্গে ‘দেশব্রতী পত্রিকা’ নিয়মিত আসত এবং সেটা দেখে সে সময়ে একজন বাবাকে প্রশ্ন করেছিলেন “আপনার বাড়ীতে দেশব্রতী পত্রিকা কেন?” বাবা ততধিক শান্তভাবে তাঁকে বলেছিলেন, “নকশালদের বক্তব্য না জানলে ওরা ঠিক না ভুল আমি জানব কী করে?” ঠিক সেভাবেই প্রেম নেই উপন্যাস লেখার সময়ে বাবা চলে গিয়েছিলেন কলকাতার ঠাকুরপুকুরে৷ সেখানে জায়গীর ঘাট অঞ্চলে একটি মুসলমান পরিবারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে মুসলিম জীবনযাত্রার অনেক খুঁটিনাটি বিষয় জানতে পেরেছিলেন৷ এছাড়াও ঠাকুরপুকুরের ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে রক্ষিত অনেক বইপত্র এবং মাসিক মহম্মদীর বিভিন্ন সংখ্যা থেকেও বাবা ওই উপন্যাসের বিষয়বস্তু খুঁজে পেয়েছিলেন৷ বাবা কোরান,বাইবেল, জাতক, গীতা, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত সমস্ত খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছেন৷ তবে তা কিন্তু ধর্মপ্রচারের জন্য পড়েন নি৷

“আপনার বাড়ীতে দেশব্রতী পত্রিকা কেন?” বাবা ততধিক শান্তভাবে তাঁকে বলেছিলেন, “নকশালদের বক্তব্য না জানলে ওরা ঠিক না ভুল আমি জানব কী করে?”

ওই গ্রন্থগুলো থেকে মানবহিতকর ভাবনাগুলো সযত্নে তুলে রেখেছিলেন নিজের কাছে৷ এবং সেই সমস্ত অমূল্য ভাবনা তিনি ভাগ করে দিতেন তাঁর লেখার মাধ্যমে৷ ধর্মকে কেন্দ্র করে মানুষে মানুষে বিভেদ গৌরকিশোরের প্রধানতম অপছন্দের বিষয়৷ বরং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হোক সমস্ত ধর্মের মানুষের মিলনস্থল — তিনি এমনটাই চাইতেন৷ অর্থাৎ ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সর্বধর্মসমন্বয়ের ভাবনাতেই গৌরকিশোর বিভোর ছিলেন৷

gourkishore ghosh
ম্যাগসেসে পুরস্কার প্রহণের মঞ্চে গৌরকিশোর ঘোষ। ছবি ভাস্কর ঘোষের সৌজন্যে।

আমার বিভিন্ন সময়ে মনে হয়েছে গৌরকিশোর ঘোষ যতটা নিরীশ্বরবাদী তার থেকে বেশি ছিলেন সর্বধর্মসহিষ্ণু ৷ অনেক ছোট ছোট ঘটনা আমাকে ভাবিয়েছে ৷ আামাদের বাড়িতে অনেক রেকর্ড আছে৷ বাবা সময় পেলেই শুনতেন৷ আমরাও শুনতাম৷ একবার জ্ঞানেন্দ্রপ্রসাদ গোস্বামীর ‘যোগীশ্বর হর ভোলা মহেশ্বর’ গানটা শুনছি৷ বাবা হঠাৎ বললেন ‘গানটা এবার চোখ বুজে শোনো, আর মনে করো তুমি এখন হরিদ্বারের হর-কি-পৌরি তে বসে আছ৷ কমলা সেনগুপ্তের ‘আমায় মা বলিয়ে কে ডাকিবে ওরে নিমাই’ গানটা যতবার বাজত ততবারই বাবার মতো লোকেরও চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ত৷ কেবলমাত্র নিরীশ্ববাদে এই আকুলতা আসেনা ৷ ঐ যে বললাম অভিধানের কোন নির্দিষ্ট মাপকাঠিতে গৌরকিশোরকে আটকে রাখা অসম্ভব ব্যাপার৷ নিজে ঈশ্বরের পূজারী না হয়েও ঈশ্বরের দূতদের প্রভূত স্নেহ পেয়েছেন সারাজীবন৷ এদের মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশনের ভরত মহারাজ (স্বামী অভয়ানন্দ), স্বামী লোকেশ্বরানন্দ এবং সারদা মঠের লক্ষ্মীদি (প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণা মাতাজী ) উল্লেখযোগ্য৷

gourkishore ghosh and wife shila ghosh
স্ত্রী শীলা ঘোষের সঙ্গে। সৌজন্যে ভাস্কর ঘোষ।

একটা ঘটনা বলে আমার লেখা শেষ করব৷ এটা ১৯৮৯-৯০ সালের ঘটনা৷ তৎকালীন বর্ধমান জেলার মেমারী থেকে একজন ভদ্রলোক বাবার কাছে আসতেন৷ নাম রায়হান আলি৷ “সতীর্থ” নামে একটা বই-এর দোকান ছিল ওঁর৷ সাত্ত্বিক মুসলমান ছিলেন ৷ সাধারণত রায়হানকাকা সকালের দিকেই আসতেন৷ বাবার সঙ্গে কথা বলে নাখোদা মসজিদে যেতেন৷ সেখানে নামাজ পড়ে তারপরে খাওয়াদাওয়া সেরে কলকাতার অন্যান্য কাজ সেরে বাড়ি ফিরে যেতেন৷ সেদিন এসেছিলেন বেশ দেরিতে৷ বাবার সঙ্গে কথাবার্তা শেষ করতেও অনেক দেরি হয়ে গেল৷ তখন জ্যৈষ্ঠ মাস৷ বাইরে কাঠফাটা রোদ৷ বাবার দুপুরের খাওয়ার সময় হয়ে গেছে৷ মা যথারীতি রায়হানকাকাকে মুখ-হাত ধুয়ে নিতে বললেন৷ রায়হানকাকা বেশ ইতস্তত করতে লাগলেন৷ মা কথাবার্তা বলে বুঝতে পারলেন যে ওঁর নামাজ পড়া হয়নি তাই খেতে চাইছেন না৷ বাবা সব কিছু শুনে রায়হানকাকাকে বললেন ‘আপনার যদি অন্য অসুবিধা না থাকে তাহলে আপনি আমার বাড়িতে নামাজ পড়তে পারেন ৷’ রায়হানকাকা এতটা আশা করেন নি৷ এখানেই শেষ নয়৷ আমাদের ঠাকুরঘরটা বাড়ির একটু ভেতরে পূর্বদিকে অবস্থিত৷ রায়হানকাকা যাতে নিরিবিলিতে নামাজ পড়তে পারেন, ওই জায়গাটাই বেছে নেওয়া হল৷ তাতে ওঁর ইতস্ততভাব আরও বেড়ে গেল কারণ পশ্চিম দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে গেলে ঠাকুর ঘরের দিকে পিছন করে প্রার্থনা করতে হয়৷ বাবা-মা সহজভাবেই সেই অনুমতি দিয়ে দিলেন৷ নমাজ পড়ে রায়হানকাকা সেদিন দুপুরে আমাদের বাড়িতেই খেয়ে গেলেন। এইসব অভিজ্ঞতা থেকেই বারবার মনে হয়েছে, বাবার সর্বধর্মসহিষ্ণুতা আর ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সর্বধর্মসমন্বয় যেন একই সুতোয় বাঁধা পড়ে গেছে ৷

6 Responses

  1. দারুন লেখা, অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে…. আজকের দিনের পরিপ্রেক্ষিতে ভীষণ ভাবে উপযোগী…. আজকের ধর্মীয় নকশালদের জন্যে ‘ চোখে আঙুল দাদা’…..

  2. গৌরকিশোর ঘোষ সাংবাদিকতা ও সাহিত্য জগতের বিশেষ অনুকরণীয় ছিলেন, ওনার লেখা প্রেম নেই তো সাহিত্য জগতে আলোচিত উপন্যাস ।এই লেখার জন্য ওনার পুত্র কে জানাই অশেষ ধন্যবাদ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com