banglalive logo
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

এলোমেলো বেড়ানো: ১৫

অমিতাভ রায়

মে ৩০, ২০২৩

Sonapani Shillong travelogue
Sonapani Shillong travelogue
Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

আগের পর্ব পড়তে: [] [] [] [] [] [] [] [] [] [১০] [১১] [১২] [১৩] [১৪]

সোনাপানি

শিলং। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য। একদা ব্রিটিশদের কাছে ছিল প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড। বাঙালির জন্য দু’ দন্ড জিরোনোর ঠাঁই। বাদ যাননি বিশিষ্ট বাঙালিরাও। স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু থেকে শুরু করে আশুতোষ মুখোপাধ্যায় সহ আরও অনেকেরই পছন্দের জায়গা শিলং। 

স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০১-এর এপ্রিল-মে মাসে শিলং-এ থেকেছিলেন। প্রয়াণের বছরখানেক আগে তিনি শিলং-এর লাবান এলাকার বাসিন্দা কৈলাশ চন্দ্র দাসের বাড়িতে কয়েক দিন বসবাস করেন। লাবান-এর বাত্তি বাজার মহল্লার সেই বাড়িটি সময়ের সঙ্গে হারিয়ে গেছে। কোনও এক সময় বাড়িটির সদর দরজার পাশে স্বামী বিবেকানন্দর অবস্থান প্রসঙ্গে একটি স্মারকফলক লাগানো হয়েছিল। এখন তারও সঙ্গিন অবস্থা। সংস্কার প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯-এ প্রথম শিলং-এ আসেন। রিলবঙ যাওয়ার পথে আঁকাবাঁকা রাস্তার উপর অবস্থিত ব্রুকসাইড বাংলো ছিল তাঁর সাময়িক ঠিকানা। কলকাতার কে সি দে তখন বাড়িটির মালিক। তাঁর আগ্রহেই ব্রুকসাইড বাংলোয় কবিকে থাকতে হয়েছিল। এখন বাড়িটির মালিকানা পেয়েছে মেঘালয় সরকার। জন্মের সার্ধশতবার্ষিকী উদযাপনের লগ্নে বাড়িটির সদরে বসানো হয়েছে রবীন্দ্রনাথের একটি আবক্ষ মূর্তি। আর সেই বছরেরই (২০১১) অক্টোবর মাসে ব্রুকসাইড বাংলোতেই মেঘালয় সরকারের অধীনে গড়ে তোলা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর্ট গ্যালারি। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২৩-এর এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় বার শিলং-এ আসেন। সেখানে থাকার  সময় লাবান এলাকার ক্রেঞ্চস্ ট্রেস্-এ পালিত হয় কবির ৬৩তম জন্মদিন। রিলবঙ-এর জিৎভূমি এবারের বাসস্থান।  ব্রুকসাইড বাংলোর থেকে খুব বেশি দূরে নয়। এখানেই লেখা হয়েছিল রক্তকরবী নাটকের প্রাথমিক খসড়া। তখন বাড়িটির মালিক ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সম্পর্কে কবির ভাইঝি-জামাই। তারপর মালিকানা বদল হতে হতে বিমল চক্রবর্তীর হাতে আসা পর্যন্ত বাড়িটিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে বাড়িটির স্বত্ত্বাধিকারী হয়েছেন ডঃ দেবাশিস দাস। বদলে গেছে জিৎভূমি। আংশিকভাবে হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী বাড়ির সাবেক চেহারা। 

Jitbhumi bungalow in Shillong
জিৎভূমি। এই বাড়িতেই লেখা হয় রক্তকরবীর প্রথম খসড়া।

তৃতীয় বার অথবা শেষবারের মতো রবীন্দ্রনাথ শিলং-এ এসেছিলেন ১৯২৭-এর মে-জুন মাসে। বাসস্থান শহরের লাই(টু)মুখরা এলাকার আপল্যান্ডস্-এ অবস্থিত সলোমন ভিলা। এখানেই বিশ্রামের অবসরে লিখেছিলেন যোগাযোগ উপন্যাস। মালিকানা বদলে সিধলি রাজপরিবারের হাতে চলে যাওয়ার পর বাড়িটির নতুন নাম হয়েছিল সিধলি হাউস। পরে আবারও বাড়িটির স্বত্ত্বাধিকারী পাল্টে যায়। রবীন্দ্রনাথের জন্মের সার্ধশতবার্ষিকী উদযাপনের মরশুমে ২০১০-এর জুন মাসে নতুন মালিক ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি গুঁড়িয়ে দিয়ে গড়ে তুলেছেন নতুন অট্টালিকা। 

বর্মার (এখন মায়ানমার) মান্দালয় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য ১৯২৭-এর ১২ জুন শিলং-এ আসেন সুভাষ চন্দ্র বসু। শহরের ইয়োরোপীয়ান ওয়ার্ডের (এখন ওকল্যান্ড) কেলস্যাল লজ ছিল তাঁর বাসস্থান। তখনকার শিলং-এর একমাত্র এমবিবিএস চিকিৎসক পুলিন বিহারী দেব তাঁর চিকিৎসা করতেন। আর ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় শিলং-এ এলে সুভাষ চন্দ্রের সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসার খোঁজখবর নিতেন।

১৯২৯-এর জুন মাসে সুভাষ চন্দ্রের দ্বিতীয় বার শিলং ভ্রমণ। এবার অন্য কোথাও নয়, বিধান চন্দ্রের পারিবারিক বাড়ি ক্রেঞ্চস ট্রেস্-এ হয়েছিল তাঁর থাকার ব্যবস্থা। এখন বাড়িটির নাম বিধান ভবন। এবং মালিক মেঘালয় সরকার।

প্রথম বার জাতীয় কংগ্রেস দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৩৮-এর অক্টোবর মাসে তৃতীয় তথা শেষবারের মতো শিলং আসেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। তখনকার ইয়োরোপীয়ান ওয়ার্ডের (এখনকার ওকল্যান্ড) অ্যাশলে হল নামের বাড়িতে তাঁর থাকার বন্দোবস্ত হয়েছিল। বহু হাত ঘুরে এখন বাড়িটির  মালিক হয়েছেন জনৈক হরিশ মর্দানি। সাবেক বাড়িটি ভেঙে সেখানে গড়ে উঠেছে এক নতুন অট্টালিকা।

Shillong landscape
শিলং-এর অপূর্ব ল্যান্ডস্কেপ

শিলং তখন অবিভক্ত অসম প্রদেশের রাজধানী। চোখ জুড়নো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পর্যটকদের নিত্য পদচারণা থাকলেও প্রশাসনিক কাজে শিলং-এ অনেক বেশি মানুষের নিয়মিত আনাগোনা। পৌর পরিষেবা সচল রাখার জন্য ১৮৭৮-এ স্থাপিত হয়েছে শিলং পুরসভা। অবসর বিনোদনের জন্য ১৮৭৮-এই গড়ে উঠেছে শিলং ক্লাব। তৈরি হয়েছে গল্ফ কোর্স। এককথায় নগর জীবনের প্রায় সব সুযোগ সুবিধাই ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগেই শিলং শহরে পৌঁছে গেছিল। নেই শুধু আলো। সূর্যাস্তের পর প্রায় পুরো শহর জুড়ে নেমে আসে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সাহেব পাড়ার বাড়িগুলোয় জ্বলে গ্যাসের বাতি। এমনকি সেই এলাকার কিছু কিছু রাস্তাতেও গ্যাসের বাতি জ্বলে। তবে সেগুলো চাঁদনি রাতে জ্বালানো হয় না। জ্যোৎস্নাই ভরসা। এবং আর্থিক সাশ্রয়।  শহরের বাদবাকি অংশে কেরোসিন তেলের লণ্ঠনই ভরসা। বাড়িতে তো বটেই, রাস্তায় বেরোতে হলেও হাতে থাকে লন্ঠন। ব্যাটারির দাম বেশি বলে টর্চের ব্যবহার সীমিত। ফলে আঁধার ঘনিয়ে এলেই শহরের রাস্তাঘাট শুনশান।

এমনই এক আঁধার ছাওয়া সন্ধ্যায় ১৯২০-র অক্টোবর মাসে শিলং শহরে এসে পৌঁছলেন এক তরুণ ডাক্তার। সাতজন সঙ্গী নিয়ে গুয়াহাটি থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে এসেছেন।  গুয়াহাটির সীমান্ত এলাকা আমিনগাঁও থেকে রওয়ানা হতেই দেরি হয়ে গিয়েছিল। তার উপরে পথে ঘটে এক বিপর্যয়। আমিনগাঁও থেকে ৫২ মাইল চলার পর দেখা গেল গাড়ির পেট্রল ফুরিয়ে গেছে। ধারেকাছে পেট্রল স্টেশন নেই। রাস্তায় গাড়ি চলাচল সীমিত। অথচ গন্তব্য আরও ১৬ মাইল দূরে। রাস্তায় অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরে একটি ডাকবাহী গাড়ির দেখা মিলল। তরুণ ডাক্তার ওই গাড়ির চালককে পরিস্কার বললেন তাকে শিলং যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তেল দিতে হবে৷ সামান্য তর্ক-বিতর্ক হলেও ডাক গাড়ির চালক পেট্রল দিলেন। ডাক্তারের গাড়ি আবার রওয়ানা দিল। 

old Shillong photos
ব্রিটিশ আমলের শিলং

বাঙালি এক দোকানদারের সাহায্যপ্রার্থী হয়ে ডাক্তার নিজেদের গন্তব্যের সন্ধান পেলেন ঠিকই, কিন্তু অন্ধকারে সেই বাড়ি খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। অবশেষে পথচারী খাসি জনজাতির তিনজনকে নিজের গাড়িতে তুলে নিলেন তরুণ ডাক্তার। এবং শেষ পর্যন্ত পথচারীদের সহায়তায় তাঁদের গন্তব্যের সঠিক সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল৷ এসব কোনও বানানো গল্প বা লোকশ্রুতি নয়। অনেক পরে সেই ডাক্তার নিজের বয়ানে এই আখ্যান উল্লেখ করেছেন।

পরের দিন সকালে পাহাড়ি শহর দেখে তরুণ ডাক্তার মুগ্ধ। ঘুরতে ঘুরতে দেখে এলেন বিশপ ও বিডন জলপ্রপাত। সেখানে তখন জনৈক সোনা রাম সেই জলপ্রপাতের  বারিধারা ব্যবহার করে দিব্যি এক কাঠ চেরাইয়ের কারখানা গড়ে তুলেছেন। অথচ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য জায়গাটি আদর্শ। ডাক্তার বিলেত থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরেছেন। সেদেশে তিনি দেখে এসেছেন কীভাবে জলপ্রপাতের জল ব্যবহার করে  বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হয়। স্বভাবতই এক বন্ধুকে ডাক্তার প্রশ্ন করলেন কেন শিলং-এ বিদ্যুতের আলোর ব্যবস্থা নেই৷ বন্ধুটি সরাসরি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে  আর. দত্ত নামের জনৈক ভদ্রলোকের সঙ্গে ডাক্তারের পরিচয় করিয়ে দিলেন৷ দত্ত মশাই জানালেন যে অন্য একজনের সঙ্গে যৌথভাবে তাঁরা বিডন জলপ্রপাত লিজ নিলেও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যাপারে কোনও চেষ্টাই করা হয়নি৷ ডাক্তার বিস্মিত।

এমনই এক আঁধার ছাওয়া সন্ধ্যায় ১৯২০-র অক্টোবর মাসে শিলং শহরে এসে পৌঁছলেন এক তরুণ ডাক্তার। সাতজন সঙ্গী নিয়ে গুয়াহাটি থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে এসেছেন।  গুয়াহাটির সীমান্ত এলাকা আমিনগাঁও থেকে শিলং-এর উদ্দেশে রওয়ানা হতেই দেরি হয়ে গিয়েছিল। তার উপরে পথে ঘটে এক বিপর্যয়। আমিনগাঁও থেকে ৫২ মাইল চলার পর দেখা গেল গাড়ির পেট্রল ফুরিয়ে গেছে।

কলকাতায় ফিরে নিজের দাদা সাধন চন্দ্রের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় বসলেন তরুণ ডাক্তার। সাধন চন্দ্র বিলেত থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরেছেন। ভাইয়ের পরিকল্পনায় তিনি সায় দিলেন। এবার সেই আর.দত্তের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করলেন দুই ভাই। আলোচনার শেষে সিদ্ধান্ত হল, তিন জন মিলে একটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হবে। কোম্পানির নাম দেওয়া হল– শিলং হাইড্রো ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড।

জলপ্রপাত তো আগেই লিজে নেওয়া ছিল। কাজেই শুধুমাত্র জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির জন্য আবেদন জমা দেওয়া হল। তবে জমা দেওয়া আর অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারটা মোটেও সহজ নয়। সরকারের কাজে এমন সময়ক্ষয় এখনকার মতো তখনও ছিল। বাড়তি উপকরণ– তখন ছিল ব্রিটিশ আমল। শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহর দায়িত্ব জনৈক ক্যাপ্টেন মোরো-কে দেওয়ার জন্য শিলংের ডেপুটি কমিশনার আগ্রহী। ক্যাপ্টেন মোরো কয়লা ও ডিজেল পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। শুরু হল টানাপোড়েন। ডাক্তারদের যুক্তি অনেক সঙ্গত। জলবিদ্যুৎ-এর উৎপাদন খরচ কম; পরিবেশ দূষণের বালাই নেই। ডেপুটি কমিশনার আবার ক্যাপ্টেন মোরো-র প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। শেষ পর্যন্ত এই বিতর্ক ভারত সরকারের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গেল। এবং দীর্ঘ নয় মাসের বিবাদ-বিতর্কের পর ডাক্তারদের কোম্পানি পেয়ে গেল জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহের অনুমতি। সরকারি দপ্তর, সরকারি আবাসন, রাস্তা ও আগ্রহী নাগরিকদের বাড়ি আলোকিত করার জন্য এই অনুমতি দেওয়া হয়। 

Sonapani hydro electric project
সোনাপানি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প

সরকারের অনুমোদন পাওয়ার মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে তখনকার পরিকাঠামোহীন, সহায়তাহীন পরিবেশে ডাক্তারদের কোম্পানি দেশের অন্যতম সুউচ্চ জলপ্রপাতের জল ব্যবহার করে ১.৫ মেগাওয়াট নিহিত উৎপাদন ক্ষমতার জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির কাজ সেরে ফেলে৷ ময়ূরভঞ্জের রাজা শ্রীরাম চন্দ্র ভঞ্জ দেওয়ের স্ত্রী রানি সুচারু দেবী ১৯২৩-এর ১৭ই অক্টোবর এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন যার পোশাকি নাম ‘সোনাপানি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র’। এটি ভারতের তৃতীয় সবচেয়ে পুরোনো জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। 

একটানা প্রায় ৬০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ১৯৮২-র এপ্রিল মাসে বন্ধ হয়ে যায় সোনাপানি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০০১ নাগাদ মেঘালয় রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরুর্জ্জীবনের উদ্যোগ নেয়। ২০০৪-এ শুরু হয় কাজ। ২০১০-এ নতুন করে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলেও সরকারিভাবে পুনর্জ্জীবনের ঘোষণা করা হয় ২০১১-র ১৪ ডিসেম্বর। আজও ঐতিহ্যবাহী সোনাপানি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সক্রিয়।

শিলং শহরের মপ্রেম (Mawprem) এলাকার লুম ক্ষ্স্ইড-এ (Lum Kshaid) এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অবস্থিত। শিলংের দুই নদী উমখ্রা (Umkhrah) আর উমশিরপি (Umshyrpi)।  উমখ্রা ও উমশিরপি নদীর দুই পাড়ে পাথরের দেওয়াল (weir)  গড়ে মপ্রেম-এর কাছে নিয়ে আসা হয়। উমখ্রা নদীতে ৬৩২ মিটার দেওয়াল রয়েছে। আর উমশিরপি-র দেওয়ালের দৈর্ঘ্য  ১১৪৫ মিটার।  প্রবল বেগে বহে চলা যৌথ জলধারা লুম ক্ষ্স্ইড-এর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের টারবাইনকে সক্রিয় রাখার ফলে দূষণহীন বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। 

শিলং-এর পর্যটন মানচিত্রে লুম ক্ষ্স্ইড স্থান পেয়েছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পুলিশ বাজার থেকে মাত্র সাড়ে তিন কিলোমিটার। গাড়িতে আঠারো বিশ মিনিট। অনেকেই অবসর সময়ে লুম ক্ষ্স্ইড ভিউ পয়েন্ট থেকে বিহঙ্গের দৃষ্টিতে শিলং শহর অবলোকন করেন।  কিন্তু তার কাছেই  সোনাপানি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সন্ধানে যায় কতজন? এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকানা : জিএস্ রোড, লোয়ার মপ্রেম, গাড়িখানা, শিলং – ৭৯৩০০২।

কথায় কথায় সেদিনের সেই শিল্প উদ্যোগী তরুণ ডাক্তারের নাম বাদ পড়ে গেছে। তিনি ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়। ১৯৪৮-এর ২৩শে জানুয়ারি থেকে ১৯৬২-র ১লা জুলাই পর্যন্ত পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

তথ্যসূত্র:

Dr. B.C. Roy by K C Thomas (1955) pages 136 and 137 থেকে বিধান চন্দ্র রায়ের বয়ান সংগৃহীত।

ছবি সৌজন্য: Needpix.com

প্রশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ ও পরিচিত পরিকল্পনাবিশারদ। পড়াশোনা ও পেশাগত কারণে দেশে-বিদেশে বিস্তর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। তার ফসল বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বই। জোয়াই, আহোম রাজের খোঁজে, প্রতিবেশীর প্রাঙ্গণে, কাবুলনামা, বিলিতি বৃত্তান্ত ইত্যাদি।

2 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com