banglalive logo
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

অদৃশ্য পরিযায়ী ও কোভিড-সঙ্কট

Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

Migrant workers

ওরা কাজ করে
দেশে দেশান্তরে
অঙ্গ বঙ্গ কলিঙ্গের সমুদ্র-নদীর ঘাটে ঘাটে
পাঞ্জাব বোম্বাই গুজরাতে…

করোনায় কাহিল পুরো দেশ। লকডাউনে স্তব্ধ। তার মধ্যেই জন-বিস্ফোরণ ঘটল দিল্লিতে। বাস স্ট্যান্ডে জড়ো হলেন হাজার হাজার মানুষ। ওঁরা সবাই শ্রমিক। দিল্লিতে এসেছিলেন ভিন রাজ্য থেকে কাজ করতে। করোনা-কালে থালা বাজিয়ে ঘটা করে লকডাউন ঘোষণা হতেই, এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়ে ওঁরা সবাই এখন নিজের বাড়ি ফিরতে চান। অতিরিক্ত রোজগার কিংবা শুধুমাত্র রোজগারের আশায় যারা একদিন ঘর-বাড়ি ছেড়েছিলেন, তাঁরাই এখন ফিরতে চান। না ফিরলে, কোথায় থাকবেন, কী খাবেন, কী কাজ করবেন, এমন হাজারো প্রশ্ন এখন তাঁদের সামনে। যার উত্তর সেই মুহূর্তে কেউই ওঁদের দিতে পারছিলেন না। 

[the_ad id=”266918″]

তার পরের সব ঘটনাই এখন ইতিহাস। টেলিভিশনের পর্দায় আমরা বারবার দেখেছি, শয়ে শয়ে মানুষ, কেউ হেঁটে, কেউ সাইকেলে পাড়ি দিয়েছিলেন ৫০০ কিলোমিটার, ৬০০ কিলোমিটার উজিয়ে যাবেন বলে। অনেকে পৌঁছতে পেরেছেন, অনেকেই পারেননি। কিন্তু, তাতে রওনা হওয়া আটকায়নি। লাইন দিয়ে, দলে দলে পোঁটলাপুঁটলি নিয়ে হাঁটতে শুরু করলেন ওই সব শ্রমিকেরা। কোথাও হাইওয়ের পাশ দিয়ে, কোথাও রেললাইন ধরে, কারও কোলে শিশু, কারও বা হাতে শক্ত করে ধরা ছেলে বা মেয়ের হাত। শয়ে শয়ে কিলোমিটার ওঁরা হেঁটেই চলেছেন। পেটে খাবার নেই, পকেটে অর্থও নেই। তবু ওঁরা বাড়ি ফিরতে চান। অনেকেই তার মধ্যে খাবার-জল না পেয়ে লুটিয়ে পড়েছেন রাস্তায়, মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। লকডাউন লঙ্ঘনের দায়ে অনেককে পুলিস ধরে ঘরবন্দি করেছে। তাতেও জনবিস্ফোরণে কমতি পড়েনি। 

এই জনবিস্ফোরণের ছবি দেখার পরেই শিউরে উঠল দেশ। আরও বিতর্ক তৈরি হল এদের প্রতি বিভিন্ন সরকারের ব্যবহার দেখে। কেন্দ্রীয় সরকার জানতই না ঠিক কতজন পরিযায়ী শ্রমিক এ দেশে আছেন, লকডাউন ঘোষণা হলে তাঁরা কি ভাবে বাড়ি ফিরবেন। এমনকি কোনও রাজ্য সরকারেরও জানা ছিল না, তাদের রাজ্য থেকে কতজন চলে যান অন্য রাজ্যে বা ভিন রাজ্য থেকেই বা কতজন আসেন তাদের রাজ্যে! 

Migrant Workers
এ রকম জন-বিস্ফোরণ দেশভাগের পরে সে ভাবে দেখা যায়নি বললেই হয়। ছবি সৌজন্য – pixabay.com

এই অবস্থায় শ্রমিকেরা যে রাজ্যে ছিলেন, সে রাজ্য তঁদের কোনও দায়িত্ব নিতে নারাজ। একমাত্র কেরল ছাড়া কোনও রাজ্যই এদেরকে সে ভাবে স্বীকার তো করলই না, উলটে তাদের দায়ভার এড়াতে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল রাজ্যগুলির মধ্যে। অনেকে তো আবার বলতে শুরু করলেন, এই পরিযায়ীরাই দলে দলে এসে কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছেন। 

কাজেই, লুকিয়ে ট্রাকের মধ্যে বা গাড়িতে করে যেতে গিয়ে ধরা পড়লে রেহাই পেলেন না পরিযায়ীরা। যে রাজ্য ধরল, তারা পাঠিয়ে দিল বন্দি দশায়, কোয়ারানটিনে। ওই নজরদারি এড়িয়ে যদি কোনও ভাবে নিজের রাজ্যে ফিরলেন সেখানেও প্রথমে কোয়ারানটিন, তার পরে কাজহীন জীবন। যে রাজ্য থেকে কাজের খোঁজে প্রতি বছর অন্য রাজ্যে চলে যেতে হয়, সে রাজ্যে লকডাউনে ফেরত এলে কাজ যে পাবেন না, তা বলাই বাহুল্য। 

[the_ad id=”266919″]

এ রকম জন-বিস্ফোরণের ছবি দেশভাগের পরে সে ভাবে দেখা যায়নি বললেই হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছুটা বাংলা আর ত্রিপুরায় দেখা গিয়েছিল। তাও ছিল নির্দিষ্ট একটি জায়গার চিত্র। কিন্তু এ রকম দেশ জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের হেঁটে চলা বোধহয় এই দেশ প্রথম দেখল। যেন অদৃশ্য এক জনগোষ্ঠী ছিল। লকডাউনের মধ্যে তাঁরা দৃশ্যমান হয়ে উঠতেই সব ওলটপালট হয়ে গেল। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ বার কেন্দ্রীয় সরকার চালু করল বিশেষ ট্রেন। তাতে হাঁটার যন্ত্রণা মিটল। কিন্তু অসহায়তা কাটল না। ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে আসা, খাবার নেই, জলও নেই। দুর্বিষহ ওই ট্রেন যাত্রায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন। মারাও গেলেন অনেকে। 

কেন্দ্রীয় সরকার জানতই না ঠিক কতজন পরিযায়ী শ্রমিক এ দেশে আছেন, লকডাউন ঘোষণা হলে তাঁরা কি ভাবে বাড়ি ফিরবেন। এমনকি কোনও রাজ্য সরকারেরও জানা ছিল না, তাদের রাজ্য থেকে কতজন চলে যান অন্য রাজ্যে বা ভিন রাজ্য থেকেই বা কতজন আসেন তাদের রাজ্যে! 

ঠিক ওইসময় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যা দেখে অতি কঠিন হৃদয়ের মানুষেরও চোখে জল আসতে বাধ্য। স্টেশনে নিঃসাড় হয়ে পড়ে আছে মৃত মা, আর অবুঝ শিশু একবার করে তুলে মাকে জাগাবার চেষ্টা করছে, আর পরক্ষণেই মাকে আবার সেই কাপড় দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে। বছর দেড়েকের শিশুটি বুঝতেও পারছে না ঠিক কী হয়েছে! বাড়ি ফেরার জন্যে গুজরাট থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু ট্রেনের মধ্যেই গরম এবং খিদে-তেষ্টায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিহারের মুজফফরপুরের একটি স্টেশনে ট্রেনটি ঢোকার আগেই মারা যান তিনি। প্রত্যাশিতভাবেই সংসদে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কেন্দ্রীয় সরকারকে। সরকারের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, দেশে ঠিক কতজন পরিযায়ী শ্রমিক আছে, তাঁদের কতজনই বা ঘরে ফিরেছেন আর কতজন প্রাণ হারিয়েছেন, তার সঠিক হিসেব সরকারের কাছে নেই। 

[the_ad id=”270084″]

অথচ, গাল ভরা নাম দিয়ে ১৯৭৯ সালে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় তৈরি হয় ইন্টার-স্টেট মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কমেন অ্যাক্ট। তার পর থেকে অবশ্য এই আইন নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য, কোনও সরকারেরই তেমন হেলদোল ছিল না। সম্প্রতি একটি আরটিআইয়ের উত্তরে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক জানিয়েছে, গত দশ বচ্ছরে মাত্র ৮৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক এই আইনের আওতায় নিজেদের নথিভুক্ত করতে পেরেছেন। অথচ, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হিসেব বলছে, এ দেশে এখন অন্তত দুকোটিরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। তার মধ্যে নথিভুক্তের সংখ্যা মাত্র ৮৫ হাজার!

গত পাঁচ বছরে দিল্লিতে এক জনও শ্রমিক তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেননি। আর গত দশ বছরে ১৯৯৩ জন ঠিকাদার এবং ৩৭২টি সংস্থা তাদের লাইসেন্স বের করেছে। যার আসল সংখ্যা কয়েক লক্ষাধিক।  

Migrant Labourers
মাইগ্রেশন আর রিভার্স মাইগ্রেশনের হাত ধরে অদৃশ্য গরিবগুরবো মানুষগুলো সামনে চলে এসেছেন। ছবি সৌজন্য – newindianexpress.com

এই তথ্য হাতে আসার পরে চোখ কপালে ওঠাই স্বাভাবিক। হাতেগরম আইন থাকা সত্ত্বেও কোনো সরকারই যে এ নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায়নি, স্পষ্ট হয়ে যায় এর পরেই। অন্য দিকে সরকার কাজের ব্যবস্থা করে এই সব শ্রমিকদের নিজের রাজ্যে আটকে রাখার চেষ্টা করেছেন, এমন নজিরও বিশেষ নেই। 

লকডাউন খানিক শিথিল হতেই আবার উলটো পথে তাই যাওয়া শুরু হল। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, আন্ধ্রপ্রদেশ-সহ রাজ্য থেকে শ্রমিকেরা কেরল, গুজরাত, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, দিল্লির মতো রাজ্যে যেতেন বেশি রোজগারের আশায়। কেউ কেউ যেতেন সারা বছরের জন্য, কেউ কেউ আবার নির্দিষ্ট কয়েক মাসের জন্য। এ বার লকডাউন শিথিল হতেই ওই সব রাজ্যে উৎপাদন শুরু হল। ফের শুরু হল ইমারৎ তৈরির কাজ। কিংবা ফসল কাটার কাজ। তখন ওই সব উৎপাদকেরা শ্রমিক অভাবে ভুগতে শুরু করলেন। কমাস আগে যে সব রাজ্য দূরছাই করে তাড়িয়ে দিয়েছিল পরিযায়ীদের, এ বার তারাই আবার ডাকতে শুরু করল। কেউ কেউ আবার বাস পাঠানোর কথাও ভাবতে শুরু করে দিল।

[the_ad id=”270085″]

নিজের রাজ্যে ফিরে গিয়েও অবশ্য শান্তিতে ছিলেন না ওই সব শ্রমিকেরা। হিসেব বলছে, ভারতের প্রায় ৬৬% জনবসতি গ্রামে বাস করেন। ২০১৪ এবং ২০১৫-র দুর্ভিক্ষ, ২০১৬-র নোটবন্দি দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত নড়িয়ে দিয়েছে। জাতীয় অপরাধপঞ্জির হিসেব বলছে, শুধু ২০১৮ সালে ১০,৩৪৯ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। অর্থাৎ, দিনে ২৮ জন। তার ওপর পরিযায়ীদের গ্রামে ফেরত আসা পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। এপ্রিল থেকে মে মাসে এক লাফে ১৬% থেকে বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ২৪.৩%-এ। বাড়তি একশো দিনের কাজের ব্যবস্থা করেও যার সুরাহা করা যাচ্ছিল না। 

ফলে, দু’ তরফেই ফের যোগাযোগ হল। আবার ফিরতি মাইগ্রেশন বা রিভার্স মাইগ্রেশন শুরু হল। 

[the_ad id=”270086″]

এতদিনে মাইগ্রেশন আর রিভার্স মাইগ্রেশনের হাত ধরে অদৃশ্য গরিবগুরবো মানুষগুলো সামনে চলে এসেছেন। স্বভাবতই এখন শ্রমিকেরা ফেরত যেতেই ফের কতকগুলো প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। তা হলে কি এ ভাবেই থাকবেন ওঁরা? ওঁদের হিসেব কি তবে কেউই রাখবেন না? দিনের পর দিন এ ভাবেই কাজের খোঁজে ঘুরে বেড়াতে হবে ওঁদের? 

শ্রমিকেরা যে রাজ্যে ছিলেন, সে রাজ্য তঁদের কোনও দায়িত্ব নিতে নারাজ। একমাত্র কেরল ছাড়া কোনও রাজ্যই এদেরকে সে ভাবে স্বীকার তো করলই না, উলটে তাদের দায়ভার এড়াতে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল রাজ্যগুলির মধ্যে। অনেকে তো আবার বলতে শুরু করলেন, এই পরিযায়ীরাই দলে দলে এসে কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছেন। 

সমীক্ষা বলছে, পরিযায়ীরা আর্থিক নির্ভরতা পান অন্য রাজ্যে গিয়ে। কিন্তু সামাজিক নির্ভরতা পান না। ওঁদের কাজের কোন নিশ্চয়তা নেই। শোষণের মাত্রাও অপরিসীম। সে কারনেই লকডাউন শুরু হওয়ার পরে তাঁদের ফেরত আসতে হয়েছিল নিজের রাজ্যে। এ কথা ঠিক যে, নয়া অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে এখন আর কোন শ্রমিককে এক জায়গায় আটকে রাখা যাবে না। এক রাজ্য থেকে অন্য যে রাজ্যে উন্নয়ন বেশি, রোজগারের সম্ভাবনা বেশি, সে সব রাজ্যে শ্রমিকেরা যাবেনই। কাজেই এই বাস্তব চিত্র মেনে নিয়েই এগোতে হবে। 

এ বারে তাই দাবি উঠেছে, তাঁদের সামাজিক নির্ভরতা দেওয়ার। বিশেষত বিহার ভোটে এই দাবি সামনের সারিতে উঠে এসেছে। এখন দাবি উঠছে জাতীয় পরিযায়ী নীতি তৈরির। যেখানে পরিযায়ীরা যেখানেই থাকুন না কেন, রেশনের সুবিধে তাঁরা যাতে পান, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। অন্য নিয়মিত শ্রমিকদের মতো পরিযায়ীদের জন্যও পিএফ, স্বাস্থবিমার মতো সুবিধের ব্যবস্থা করতে হবে। তার সঙ্গে যে সব রাজ্য দুর্বল, যে সব রাজ্য থেকে শ্রমিকেরা বাইরে পাড়ি দিচ্ছেন, ওই সব রাজ্যের উন্নয়ন করতে হবে। স্থানীয় কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। তাতে শ্রমিকদের বাইরে যাওয়ার প্রবণতা কমবে, অন্য রাজ্যে তাঁরা আরও বেশি নিজেদের দর বাড়াতে পারবেন।

[the_ad id=”270086″]

বিপদে পরে এখন অনেক রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের ডেটাবেস তৈরির কাজও শুরু করেছে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। উলটে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে নেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান আইন শিথিল করে আদপে রাজ্যগুলি সুবিধে করে দিচ্ছে মালিকদেরই। 

এমন পরিস্থিতিতে অন্য দাওয়াইও দিচ্ছেন কেউ কেউ। ওই সব বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্রমিক আইন বা পরিযায়ী নীতি তৈরি করলেই হবে না, দীর্ঘমেয়াদি ভাবে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার কথা ভাবতে হবে। গ্রামের মানুষদের খেতে কাজ না পেলে যাতে রোজগারের জন্য শহরে বা অন্য রাজ্যে দৌড়ে যেতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। তা হলে, শ্রমিকদেরও পছন্দসই কাজ মিলবে, দর কষাকষির সুযোগও আর বাড়বে। তবেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। 

আর না হলে!

লকডাউন খানিক শিথিল হতেই আবার উলটো পথে তাই যাওয়া শুরু হল। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, আন্ধ্রপ্রদেশ-সহ রাজ্য থেকে শ্রমিকেরা কেরল, গুজরাত, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, দিল্লির মতো রাজ্যে যেতেন বেশি রোজগারের আশায়। কেউ কেউ যেতেন সারা বছরের জন্য, কেউ কেউ আবার নির্দিষ্ট কয়েক মাসের জন্য।

এ যাত্রায় হয়ত কিছুদিন পরে ভ্যাকসিন আসবে। মানুষ আবার নিজের ছন্দে ফিরবেন। বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাবে এই জন বিস্ফোরণ ঘটানো অদৃশ্য পরিযায়ীরা। তারপর আবার ফিরে আসবে অতিমারি, সেদিন আবার এমন করেই ঘটবে জনবিস্ফোরণ। আবার লেখালেখি, সংবাদপত্রের শিরোনাম হবেন পরিযায়ীরা। 

২০২০ সাল স্বভাবতই ভারতের ইতিহাসে কোভিডের সঙ্গে একই পঙ্ক্তিতে স্মরণ করা হবে এই সব পরিযায়ীদের। আর নতুন বছরেও এদের দুর্দশা হঠাৎ কোনও জাদুবলে কেটে যাবে, এমন নিশ্চয়তাও কেউ দিতে পারছেন না। তবে বছর ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন এলে, আবার স্বাভাবিক জীবন শুরু হলে এঁদের নিয়ে ভাবার লোক কমবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com