মলুঙ্গি পাড়া
কুণ্ডু-পুকুরের নীচে সোনার মন্দির আছে
ছোট থেকে মনে হত ঝাঁপ দিই
তুলে আনি সেই গুপ্তধন।
মলুঙ্গি পাড়ায় ছায়া-মায়াদের বাড়ি,
তখনও ঢালাই রাস্তায় পথ ঢাকেনি
কাদাপথে পিছল খাই ছোটদের দল
নতুবা ইঁটের খাঁজে জমা কাদাজল
এখনও ছলাৎ করে স্মৃতি চলকে ওঠে।
কাদের ওই বউ মরে গেল অভিমানে
আর মলুঙ্গি পাড়া জুড়ে ফিসফিস রটে
তখনও বুঝি না আনপুরুষ কাকে বলে
হয়তো বা বুঝি
বা বুঝে ওঠার আগেই দেখি…
কুণ্ডু-পুকুর তুমি সারারাত অন্ধকারে থাকো?
কারা জল ছেঁচে নিয়ে গেল?
এখন তো তলদেশ দেখা যায়।
তুমিও কি অভিমানে ছেড়ে চলে গেছ?
মূল্য
আমি আর কথা বলি না তারপর থেকে, ওর সাথে
সেই যে সেদিন সাধারণ বিষয়ে কথা কাটাকাটি হল
তারপর থেকে বৃষ্টি নেই আজ দুসপ্তাহ
পালবাড়ির পাশ দিয়ে ড্রেনের জল মাঝে মাঝে বয়ে যায়
আমি ভাবি, এই তো কদিন আগেই
কৃষ্ণচূড়ায় পথঘাট লাল হয়ে ছিল
তখনও বুঝিনি এত তাপ! এত তাপ জমে গেছে!
বাজারে মাছের চাতাল খালি পড়ে থাকে
দাগধরা আমে আর নকুলদানায় পুজো ঠেকায়
ছোটমাসি কোনওমতে
এসব অগ্নিমূল্য কবে আর বুঝবে?
সব কি আবহাওয়া দপ্তর-মতে চলে, বল?
*ছবি সৌজন্য: Free images
নন্দিনী সঞ্চারী পেশায় স্কুলশিক্ষিকা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা। কবিতা লিখছেন কলেজে পড়ার সময় থেকে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও অনলাইন ম্যাগাজিনে নিয়মিত কবিতা লেখেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘শুভাশিস চেয়েছি কখনও?’ (সপ্তর্ষি প্রকাশন)।