ওজন কমানোর জন্য শুধুই দৌড়ানো বা মাইল মাইল হাঁটাই যথেষ্ট নয়। আপনি কী খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন সেটার উপরও নজর দেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই এক মাত্র কাঙ্ক্ষিত ওজন পেতে পারেন। সবজি, তাজা ফলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে। শরীরের জন্য ভাল আবার ওজন কমাতেও দারুণ। সুতরাং ডায়েট প্ল্যানটা বানাতে হবে একদম ভেবেচিন্তে। তবেই হয়ে উঠতে পারবেন ঝরঝরে আর ফিট। আসুন দেখে নিই কোন কোন নিউট্রিয়েন্ট ওজন কমাতে কার্যকর।
মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট-ওজন কমাতে এবং পেটের চর্বি ঝরিয়ে ফেলতে ডায়েটে রাখতেই হবে মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। হার্টের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনাও এতে কমে যায়। গবেষণা করে দেখা গেছে যে লো ফ্যাট ডায়েট যেভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে, একই রকম কাজ করে যদি ডায়েটে মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ যদি বেশি থাকে। তবে ক্যালরির পরিমাণ কিন্তু একই রাখতে হবে। অ্যাভোকাডো, ম্যাকাডেমিয়া নাট, আমন্ড, অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে এই ম্যাজিক উপাদানটি থাকে।
ফাইবার-বিটা গ্লুকান এবং গ্লুকোমান্নানের মতো দ্রবণীয় ফাইবারখেলে পেটের মেজ কমতে পারে। ওজন বাড়াও রুখতে পারে এরা। গবেষণা করে দেখা গেছে, যাঁরা বেশি পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার খান, তাঁদের পেটে মেদ জমার সম্ভাবনা অনেক কম। এগুলি হজমশক্তিও বাড়াতে পারে এবং পেট অনেকক্ষণ ভর্তি রাখে। আপেল, বেরি, কমলালেবু, ওটমিল, মুসাম্বি, নাশপাতি তাই ডায়েটে রাখুন।
প্রোটিন-ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিপোষক। ওজন কমাতে চাইলে ডায়েটে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। এতে মেটাবলিজম বেড়ে যায়, খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। পাশাপাশি ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে যে সব হরমোন তাদেরও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে প্রোটিন। যে সব খাবারের প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, তারা বেশি পরিমাণে ক্যালরি বার্ন করাতে সাহায্য করে। এমনকী যখন আপনি ঘুমচ্ছেন, সেই সময়ও তারা ক্যালরি বার্ন করাতে পারে। মাছ, চিকেন, ডিম, দুধ ,দই, ছানা, ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।
র্যাসবেরি কিটোন-এই কিটোন একেবারেই প্রাকৃতিক উপাদান যার থেকে লাল র্যাসবেরি তার সুগন্ধ পায়। ব্ল্যাকবেরি, ক্র্যানবেরি, কিউয়িতেও অল্প পরিমাণে থাকে। মাংসপেশীকে শক্তিশালী করে যে অ্যাডিনোপেকটিন (এক ধরনের হরমোন) তার নিঃসরণে সাহায্য করে এই কিটোন। অ্য়াডিনোপেকটিনের কারণে মেদও খুব তাড়াতাড়ি ঝরে যায়।
এপিগ্যালোক্যাটেকিন গ্যালাটে (ইজিসিজি)-গ্রিন টি-তে পাওয়া যায় এই কম্পাউন্ড। শারীরিক প্রদাহ কমায়, ওজন কমাতে সাহায্য করে, হার্ট ও মস্তিষ্কও ভাল রাখে এই ইজিসিজি। গ্রিন টি ছাড়াও হোয়াইট টি, ক্র্যানবেরি, নাশপাতি, হেজেলনাটে পাওয়া যায়।