banglalive logo
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

গল্প: দড়ি টানাটানি খেলা

আগস্ট ৭, ২০২২

Woman loves Books
Bookmark (0)
ClosePlease login

No account yet? Register

বালিশের পাশে রাখা মোবাইল অন করে ঘড়ি দেখল সুচরিতা। তিনটে আঠেরো। গলা শুকিয়ে জ্বালা করছে। উঠে বসল। সাইড টেবিলে রাখা জলের বোতল থেকে বেশ খানিকটা জল ঢালল গলায়। কিছুতেই ঘুম আসছে না। আধঘণ্টা, পঁয়ত্রিশ মিনিট অন্তর অন্তর সময় দেখছে। বুকের ধুকপুকিনিটা কমছেই না। অথচ ঘুমের পোকা হিসেবে নাম আছে সুচরিতার। অন্তত শিবেন্দ্র তাই বলে।
– উফ্, কিছু ঘুমোতে পারো তুমি সু। শুতে না শুতেই কোথায় যে চলে যাও, মনে হয় যেন এক তাল কাদা। আদর করতে গেলে খুঁচিয়ে তুলতে হয়। ঈর্ষণীয় ঘুম তোমার মাইরি!
– হেহে, বাড়িতেও তাই বলত সবাই। পরীক্ষার আগের রাতে বন্ধুরা টেনশনে ঘুমোতে পারছে না, ঘন ঘন ফোন আসছে, কী রে, রিভিশন শেষ? সব পড়ছিস না সাজেস্টিভ?  আমার তখন একটাই চিন্তা। কখন দশটা বাজবে আর আমি টুক করে পাশবালিশটি জড়িয়ে নিশ্চিন্দিপুরে পাড়ি দেব।
– পরীক্ষা নিয়ে টেনশন হত না? তার মানে সারা বছর পড়াশোনা কর‍তে, তাই না?
– আরে না গো! যতক্ষণ জেগে থাকতাম ততক্ষণ টেনশন হত যথেষ্ট। কিন্তু ঘুমের সময় হয়ে গেলে আমার টেনশন ফেনশন সব উধাও। মনে হত, ও যা হবে দেখা যাবে। আগে তো ঘুমোই। 
জল খেয়ে টয়লেটে গেল সুচরিতা। শিবেন্দ্র ঘুমোচ্ছে। হাল্কা নাক ডাকছে। এক ঘুমে সকাল হয় যার, সেই সুচরিতা আজ  শোবার পর এই নিয়ে তিনবার বাথরুম গেল। ফিরে এসে সুখাসনে বসে মেডিটেশন করার চেষ্টা করল সুচরিতা। মনটাকে শান্ত করা দরকার। কাল সোমবার। সেই অস্বস্তিকর দিন। চোখের তলায় এক পোঁচ কালি নিয়ে শুকনো মুখে মোকাবিলা করা যাবে কি!

তিন পুরুষের প্রকাশনা ব্যবসা শিবেন্দ্রদের। শিবেন্দ্রর ঠাকুরদা ব্রজেন্দ্রনারায়ণ ওপার বাংলা থেকে কলকাতায় এসে প্রকাশনা শুরু করেন। তখন নেহাতই ছোটখাটো ছিল সে ব্যবসা। থাকারই কথা। সব ফেলে দেশ ছেড়ে এসে নতুন করে সংসার পাতা, রোজগারের ব্যবস্থা করা। পুঁজি তো যৎসামান্য। একটাই প্লাস পয়েন্ট ছিল ব্রজেন্দ্রনারায়ণের, তা হল লোকবল। সাতটি সন্তানের পিতা ছিলেন তিনি। তার মধ্যে ছটিই ছেলে। একটিমাত্র মেয়ে। ছেলেরা বাবার পাশে ছিল। ফলে খেয়ে পরে চলে গেছে দিন।

প্রকাশনা শুরু করার বছর দুয়েকের ভেতর পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের কাজে নামেন ব্রজেন্দ্রনারায়ণ। এবং সেখানেই সাফল্য আসে বিপুল। কয়েক বছরের মধ্যেই নিজস্ব বাড়ি, গাড়ির মালিক হন। এরপরের গল্প সিনেমার মতোই। ব্রজেন্দ্রনারায়ণের মৃত্যুর পর ভাইদের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। সবের মূলেই টাকা। বড় ভাই সর্বেন্দ্রনারায়ণ শান্তি বজায় রাখতে সম্পত্তি ভাগ বাঁটোয়ারা করে দেন ভাইদের। বাকি পাঁচ ভাই টাকা নিয়ে পৈতৃক ভিটে ছেড়ে চলে যান। এক বোনের বিয়ে আগেই হয়ে গেছিল। পৈতৃক বাড়ি এবং ব্যবসা থেকে যায় সর্বেন্দ্রনারায়ণের ভাগে। এক ছেলে, এক মেয়ে এবং স্ত্রী বিমলাকে নিয়ে নতুন করে লড়াই শুরু করেন তিনি। পাঠ্য বই থেকে সরে আসেন। নামী দামি লেখকদের গল্প উপন্যাস ছাপতে শুরু করেন। প্রোডাকশন কোয়ালিটি অত্যন্ত উন্নতমানের হওয়াতে ব্যবসা বাড়তে থাকে। এরমধ্যে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সর্বেন্দ্র। সেরিব্রাল স্ট্রোকে ডান দিক অচল হয়ে পড়ে তাঁর। 

 

আরও পড়ুন: ঈশানী রায়চৌধুরীর গল্প রমাকান্তর ঘরগেরস্তি

 

শিবেন্দ্র সে সময়ে পিএইচডি করছে। থিসিস প্রায় রেডি। সামান্য কিছু কাজ বাকি। অধ্যাপনার প্রবল ইচ্ছে শিবেন্দ্রর। ব্যবসা বাবাই দেখবেন। পাশে অবশ্যই থাকবে শিবেন্দ্র। নিজে পুরো সময় দিতে না পারলেও, উপযুক্ত লোক রেখে দেবে ভেবে রেখেছে সে। ভালো মাইনে দিলে কাজ জানা লোক পেতে অসুবিধে হবে না। বাবার তো বয়স হচ্ছে। কিন্তু সর্বেন্দ্রর অসুস্থতা সব হিসেব গোলমাল করে দিল। এত প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। শিবেন্দ্র পুরোপুরি যোগ দিল ব্যবসায়। থিসিস জমা দিয়ে দিলেও চাকরির চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে দিল চিরতরে। স্বামীর অসুস্থতার কারণে এতদিন চুপচাপ থাকলেও এখন শিবেন্দ্রর বিয়ের জন্য অস্থির হয়ে উঠলেন বিমলাদেবী। চেনাজানা পরিধির মধ্যেই সুচরিতার খোঁজ পাওয়া গেল। পছন্দ হবার মতোই মেয়ে। বিয়ে হয়ে গেল।

সুচরিতা বাংলা নিয়ে মাস্টার্স করেছে। সাহিত্যের প্রতি অগাধ আকর্ষণ। শিবেন্দ্রদের প্রকাশনার ব্যবসা শুনে প্রায় চোখ কান বুজেই রাজি হয়ে গেছিল সে। খোঁজখবর যা নেবার, ওর বাড়ির লোকজন নিয়েছিল। সত্যি সত্যিই শিবেন্দ্রর উপযুক্ত বউ হয়েছে সুচরিতা। একেবারে মেড ফর ইচ আদার। বিয়ে ঠিক হবার পর দিন তিনেক বেরিয়েছিল দুজনে। সুচরিতা স্পষ্ট বলেছে, ‘যদি মনে করো আমি তোমাদের প্রকাশনায় কোনও কাজে লাগতে পারি, তবে অবশ্যই বলবে। আমি খুশি মনে কাজ করতে রাজি।’ নিশ্চিন্ত হয়েছিল শিবেন্দ্র। যে চিন্তাভাবনা মনে মনে ছিল, তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। বিয়ের ঝক্কি ঝামেলা মিটে যেতেই সুচরিতা যোগ দিয়েছে ব্যবসায়। রীতিমতো সকাল সাড়ে দশটায় রেডি হয়ে অফিসে যায় সুচরিতা। শিবেন্দ্র বরং আরও ঘণ্টাখানেক পরে যায়।

বরাবরই উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেয়ে সুচরিতা। টাকাই ব্রহ্ম– এরকমই ধ্যানধারণা। টাকা ছাড়া যে দুনিয়া অচল, চোখের সামনে সেটা দেখেই বড় হয়েছে। ওর বাবা কর্পোরেশনে চাকরি করতেন। সৎ মানুষ ছিলেন। মাইনের টাকা ছাড়া বাড়তি উপার্জন ছিল না। সুচরিতার ঠাকুমার স্তন ক্যানসার হয়েছিল। চিকিৎসা করাতে করাতে কীভাবে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল বাবাকে, দেখেছে সুচরিতা। তাই বুঝেছিল, নিজে ভালো থাকতে হলে, শখশৌখিনতা পূরণ করতে হলে মোটা টাকা রোজগার করা দরকার। বিদেশ দেখার প্রবল আগ্রহ ছিল সুচরিতার। বিশেষ করে বন্ধু অঙ্কিতা বিয়ের পর জাপানে গিয়ে ওখানকার ছবি পাঠানোয় সুচরিতার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। প্রখ্যাত, প্রবীণ, নবীন সব সাহিত্যিকদের সঙ্গেই আলাপ পরিচয় হয়ে গেছে সুচরিতার। সুচরিতার ব্যবহারে সকলেই মুগ্ধ। শিবেন্দ্র সুচরিতা বসে ঠিক করে আগামী দিনে কী কী বই প্রকাশ করবে ওরা। লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগের কাজটা বেশির ভাগই সুচরিতা করে।

কিছু নতুন লেখককে খুঁজে বের করে তাদের বই বের করেছে ওরা। হইহই করে বিক্রি হচ্ছে সেসব। ঝুঁকি নিয়ে এই ধরনের কাজের সাফল্য আসছে। হুহু করে বাড়ছে ব্যবসা। বাজারে আলোচনার হট টপিক এখন ‘আপনজন পাবলিকেশন’ এবং শিবেন্দ্র-সুচরিতা জুটি। শিবেন্দ্র সুচরিতাকে মাসে মাসে কুড়ি হাজার টাকা করে দেয়। হেসে বলে, ‘সু, এটা তোমার হাতখরচ। যেভাবে খুশি খরচ কোরও।’ খুশি হয় সুচরিতা। গত মাসে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ব্র‍্যান্ডেড সানগ্লাস কিনেছে। প্রকাশনা নিয়ে সারাক্ষণই চিন্তা করে সুচরিতা। ‘আপনজন পাবলিকেশন’ এখন বলতে গেলে বাংলা নন-টেক্সট বইয়ের প্রথম পাঁচটা প্রকাশনা সংস্থার একটা। সর্বেন্দ্রনারায়ণকে নিয়মিত সব খবরই দেয় শিবেন্দ্র। মুখে প্রকাশ করতে না পারলেও, চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়া জলের ক্ষীণ স্রোত বুঝিয়ে দেয় তাঁর ভেতরের আনন্দ।

অফিসে এসে প্রথমেই মেল চেক করে সুচরিতা। একটা কোম্পানির মেল এবং একটা পার্সোনাল। কোম্পানির মেলে কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ উত্তর দিয়ে পার্সোনাল মেলবক্স খুলল সুচরিতা। একটা মেলে এসে আটকে গেল চোখ। শহরের এক নম্বর প্রকাশনা সংস্থা ‘লিখন’ থেকে একটা মেল এসেছে। খুব খুঁটিয়ে তাদের বক্তব্য পড়ে খানিকক্ষণ থমকে বসে রইল সুচরিতা। কী বলছে এরা! চাকরির অফার! ধুস, ফেক মেল হবে। ‘লিখন’-এর নাম ব্যবহার করে লেটার প্যাড নকল করে কাজটা সেরেছে আর কি! গুরুত্ব না দিয়ে অন্যান্য মেলে চোখ বুলিয়ে ল্যাপটপ সরিয়ে রেখে হ্যান্ডব্যাগটা সামনে এনে রাখে সুচরিতা। আজ অফিস আসার সময়ে রাস্তায় হজমিওয়ালা দেখতে পেয়ে গাড়ি থামিয়ে হজমিগুলি, বুনো কুল কিনেছে। কতদিন পর! আহা, ভাবতেই জিভে জল আসছে। স্কুলজীবনে কত খেয়েছে।

Indian Couple
বাজারে আলোচনার হট টপিক এখন শিবেন্দ্র-সুচরিতা জুটি

শিবেন্দ্র আসার আগেই খানিকটা হজমি খেয়ে নেবে ঠিক করল সুচরিতা। শিবেন্দ্রর কথায়,’যত্ত পোকা ধরা মালমশলা দিয়ে এসব বানায়। এসব মোট্টে খেতে নেই।’ নানারকম নুন দিয়ে মাখা হজমি মুখে দিয়ে চুষতে চুষতে কী মনে হতে আর একবার ল্যাপটপ সামনে এনে সেই বিশেষ মেলটা খোলে সুচরিতা। ভালো করে পড়ে দেখে। লিখন প্রকাশনা সংস্থায় সুচরিতাকে সিইও হিসেবে চাইছে ওরা। তেরো লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার প্যাকেজ। অফিস যাতায়াতের জন্য গাড়ি দেওয়া হবে। বছরে একবার বিদেশে বাংলা সাহিত্যের ওপর সেমিনার করার সুযোগ পাবে। এক সপ্তাহের ভেতর সুচরিতার মতামত জানাতে অনুরোধ করেছে। হঠাৎ মাথাটা কেমন টলে যায় সুচরিতার। এটা কি মিথ্যে? এটার মানে কী? ওরা তো জানে, সুচরিতা নিজেদের প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। তার পরেও এই অফারের কারণ কী? তেরো লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা মানে মাসে এক লক্ষ আট হাজার টাকা মাইনে? তার সঙ্গে গাড়ি, বিদেশ ভ্রমণ! ‘আপনজন পাবলিকেশন’ যত উন্নতিই করুক না কেন, এই পরিমান টাকা কোম্পানি থেকে প্রতি মাসে কখনওই তোলা সম্ভব নয় ওর বা শিবেন্দ্রর পক্ষে। কর্মচারীদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি বরাবরই দিয়ে এসেছেন সর্বেন্দ্রনারায়ণ, এখন শিবেন্দ্র-সুচরিতাও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে।

সুচরিতার মনের এক গোপন কোণে লোভের একটা বিন্দু জন্ম নেয়। রাজি আছি লিখে মেল করেই দেখা যাক না পরবর্তী জবাব কী আসে। সুন্দর করে উত্তর দেয় সুচরিতা। আজ বাংলাদেশের এক বিখ্যাত পাবলিশারের আসার কথা আছে সাড়ে এগারোটায়। শিবেন্দ্র এলেই এগ্রিমেন্টের পয়েন্টগুলো নিয়ে ডিসকাস করে নিতে হবে। সুচরিতার ভাবনার মধ্যেই শিবেন্দ্র ঢোকে। দু’জনে বসে আলোচনা করে নেয় জরুরি বিষয়গুলো।

সুচরিতার মেলের জবাবে ‘লিখন’ আগামী পরশু ওকে ডেকে পাঠিয়েছে ওদের হেড অফিসে। প্রস্তাবে সুচরিতা রাজি ধরে নিয়েই এগোচ্ছে ওরা। পাগল পাগল লাগছে সুচরিতার। এখন কী করবে ও! কেন দিতে গেল জবাব। রিফিউজ় করল না কেন! নিজের প্রতিষ্ঠান ছেড়ে শুধুমাত্র টাকার লোভে একই ব্যবসার অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগ দিলে বাড়ির লোক তো কোন ছাড়, বইপাড়ার মানুষজনই বা কী বলবে! নিন্দের ঝড় বইবে তো চারদিকে। বাংলার এক নম্বর প্রকাশনা সংস্থা, মাস গেলে অতগুলো টাকা প্লাস বিদেশ যাবার হাতছানি অল্প হলেও কোথাও সুচরিতাকে দড়ি টানাটানিতে ফেলে দিচ্ছে কী? ঘুমোতে পারছে না ঘুম কাতুরে সুচরিতা। শিবেন্দ্র এখনও কিচ্ছু যানে না। পরম নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে সে। আসলে সুচরিতা বোঝেনি, এই ঘটনার পেছনে যার মাথা খেলছে, সে হল  সুচরিতার কলেজের ক্লাসমেট চিরন্তন সেনগুপ্ত। সুচরিতাকে অসম্ভব পছন্দ ছিল চিরন্তনের। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হওয়ায় চিরন্তনকে সেভাবে কোনওদিনই পাত্তা দেয়নি সুচরিতা। চিরকালই হিসেব করে পা ফেলায় বিশ্বাসী সে। 

কিন্তু দিন তো সবার এক রকম যায় না। পরবর্তীকালে চিরন্তন জার্নালিজম পাশ করে ছোট বড় নানা কাগজে কাজ করার পর এডিটর হিসেবে জয়েন করেছে ‘লিখন’-এ। যথেষ্ট ক্ষমতা ওর হাতে। যে দড়ি টানার খেলায় কলেজ জীবনে হেরে গেছিল চিরন্তন, এখন তার জোর কতটা একবার পরখ করে দেখতে চায় সে। সুচরিতাকে খুব ভালো চেনে চিরন্তন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা!

 

*ছবি সৌজন্য: Pinterest

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

[adning id="384325"]
[adning id="384325"]

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com